গার্ডেনরিচ কাণ্ডে নয়া মোড়! ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ পুলিশের, চার্জশিটে কাদের নাম?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মার্চ মাসে কলকাতার গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়েছিল একটি নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতল (Garden Reach Building Collapse)। সেই ঘটনার জেরে প্রাণ হারান ১৩ জন। প্রায় ৮৯ দিন ধরে এই ঘটনার তদন্ত চলার পর এবার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। শুক্রবার আলিপুর আদালতে ৭৩০ পাতার এই চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের এই চার্জশিটে অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারি আদেশ অমান্য এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো ধারাতেও অভিযোগ এনেছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন জমির মালিক, প্রোমোটার, ঠিকাদার। সকলেই বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

তবে জানা যাচ্ছে, গার্ডেনরিচ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একজন ব্যক্তি পলাতক। ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই চার্জশিটে সাক্ষীর তালিকায় মোট ১৭০ জনকে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গেই সিআরপিসি ১৭৩ (৮) ধারায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের পথও খুলে রেখেছেন তদন্তকারীরা।

আরও পড়ুনঃ গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরেও শিক্ষা নেই! গ্রামীণ হাওড়ায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ‘বেআইনি’ বহুতল, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

গত ১৭ মার্চ রাতে গার্ডেনরিচের ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে। খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। সেই সঙ্গেই কাঠগড়ায় তোলা হয় কলকাতা পুরসভাকে (Kolkata Municipal Corporation)। অসুস্থ শরীর নিয়েই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এই ঘটনাকে একেবারেই লঘু করে দেখা হবে না। এবার ঘটনা ঘটার তিন মাসের মাথাতেই চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, গার্ডেনরিচ কাণ্ডে কলকাতা পুলিশের এই কড়া পদক্ষেপে খুশি কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। কারণ একদিকে বেআইনি নির্মাণের জেরে প্রচুর সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁদের। অন্যদিকে আবার খোদ মেয়রের বিধানসভা এলাকায় এমন ঘটনা ঘটায় তাতে যোগ হয়েছিল অন্য মাত্রা।

Garden Reach building collapse

গার্ডেনরিচ কাণ্ডের পরেই পুরসভায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয় পুর আধিকারিকদের। একইসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ বলেছিলেন, আসল দোষীদের শাস্তি দিতে কলকাতা পুলিশকে যেন কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে যাবতীয় সাহায্য করা হয়। এই ঘটনার পর কেএমসির তিনজন ইঞ্জিনিয়ারকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও তাঁদের সাসপেনশন ওঠেনি।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর