বাংলাদেশে দুর্গা মণ্ডপে হামলার প্রতিবাদে গর্জে উঠল কলকাতা, পাশে দাঁড়াল সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চলছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব প্রাণের উৎসব দুর্গা পুজো (durga puja)। এই সময় প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশের এক ঘটনায় নিন্দায় সরব হল ভারতীয়রাও। স্যোশাল মিডিয়ায় উঠল প্রতিবাদী ঝড়। চুপচাপ বসে থাকল না সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারও (santosh mitra square)। ছোট থেকে বড় সকলেই অংশ নিলেন এই প্রতিবাদী বিক্ষোভে।

বিষয়টা হল, বাংলাদেশের (bangladesh) কুমিল্লা জেলার নানুয়া দীঘিতে একটি দুর্গা পুজো মন্ডপ থেকে হামলার খবর উঠে এসেছিল। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল, দুর্গা পুজোয় কোরানের (quran) অপমান করা হয়েছে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে ঝামেলা বড় আকার ধারণ করে। অন্যায়ভাবে মন্ডপের ঠাকুরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। মাঝপথেই অসম্পূর্ণ থেকে যায় দুর্গা পুজো।

https://twitter.com/UnityCouncilBD/status/1448215985987600387?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1448215985987600387%7Ctwgr%5E%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Fbanglahunt.com%2Fwp-admin%2Fpost.php%3Fpost%3D372051action%3Dedit

এই ঘটনায় ‘বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ’ সংগঠনটি কুমিল্লার সকল হিন্দুকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। তাদেরকে সকলকে মন্দিরে একসঙ্গে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিন্দুদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়েও জানিয়েছিল ‘বাংলাদেশ হিন্দু ঐক্য পরিষদ’।

এই ঘটনার প্রতিবাদে লেখিকা তসলিমা নাসরিন (taslima nasreen) ট্যুইটারে অভিযোগ জানান, ‘কিছু হিন্দু বিদ্বেষী মানুষ এমনটা করেছেন। তাঁরা গোপনে বাংলাদেশের কুমিল্লার দুর্গা পুজা প্যান্ডেলে হনুমানের মূর্তির পায়ে কোরান রেখেছিল। হিন্দুদের উপর হামলা করার একটা অজুহাত খুঁজছিল তাঁরা। আশা করছি সরকার এর বিচার করবে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করবে’।

https://www.facebook.com/Santosh-Mitra-Square-Sarbojanin-Durgotsab-Samity-284089918283185/photos/pcb.7129789690379806/7129787340380041

স্যোশাল মিডিয়ায় এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘কুমিল্লায় আক্রান্ত মা দুর্গা’ হ্যাশট্যাগে ছেয়ে যায়। এরপর এই ঘটনার প্রতিবাদে মাঠে নামে সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারও। কলকাতার অন্যতম বড় পুজোর মধ্যে একটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার। এই ক্লাবের উদ্যোক্তারা সকলেই হাতে মোমবাতি নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নিলেন। আর তাঁদের সামনের সারিতে থাকা শিশুদের হাতে প্লাকার্ডে লেখা ছিল ‘বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের বাঁচাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের হস্তক্ষেপ চাই’, ‘নিজ ধর্ম রক্ষা করা সাম্প্রদায়িক কি?’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর