বাংলাহান্ট ডেস্ক: আগামী বছরই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা। তাকেই পাখির চোখ করে প্রস্তুতি পর্ব শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচন এবং পুরসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির (Bharatiya Janata Party) অবস্থা ছিল কাহিল। দুবারের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য নিজেরা প্রস্তুত হচ্ছে গেরুয়া শিবির। যদিও তৃণমূলের (Trinamool Congress) তরফে তারকা সদস্য কৌশানি মুখোপাধ্যায় (Koushani Mukherjee) মন্তব্য করেন, তৃণমূলের কাছে টিকতে পারবে না বিজেপি।
বিগত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জেলার ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মীলনীর আয়োজন করছে তৃণমূল। রবিবার কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের কাকড়িবাড়িতে বিজয়া সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কৌশানি। এদিন সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি।
কৌশানি স্পষ্ট কথায় বলেন, যদি কেউ মনে মনে এখনো বিজেপিকে সমর্থন করে থাকেন তাহলে এখনো সুযোগ রয়েছে তাদের কাছে, শুধরে যান। ২০২৪ এ ভুল শোধরানোর আরো একটা সুযোগ তারা পাবেন। ২০২৪ এ আবারো বড় মার্জিনে জিতবে তৃণমূল। ২০২৪ এ দিল্লি যাবে হাওয়াই চটি, আত্মবিশ্বাসী কৌশানি।
এদিন ‘দিদি’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন কৌশানি। মুখ্যমন্ত্রীকে নাকি মুড়ি আর শসা ছাড়া আর কিছুই খেতে দেখেননি তিনি। তাঁরা যখন বিরিয়ানি খান, মুখ্যমন্ত্রী তখন চা বিস্কুট খেয়ে রাজ্যের মানুষের কথা ভাবেন। বছরের ৩৬৫ টা দিন শুধুই বাংলার মানুষের কথা ভাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, উন্নয়নের কথা ভাবেন, দাবি কৌশানির।
নিজেকে বরাবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরাগী বলে এসেছেন কৌশানি। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গিয়েছে কৌশানিকে। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি ছোট থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। তাঁর পুরো পরিবারই নাকি তৃণমূলের সমর্থক। তাই সেই দলে যোগ দেওয়া তাঁর কাছে ভাগ্যের ব্যাপার।
মমতাকে দেখেই রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন, এমনটাই বক্তব্য ছিল কৌশানির। তাঁর কথায়, “আমার প্রথম ছবি পারব না আমি ছাড়তে তোকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমি ছাড়তে পারব না। আমি সামনে থেকে দেখেছি উনি কিভাবে মানুষের জন্য কাজ করেন। দিদি আমাদের পাশে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।”