বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নাস্তিক হিসাবে পরিচিত নেপালের (nepal) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে (k. p. sharma oli) এখন নির্বাচনের পূর্বে মন্দিরে মন্দিরে দেখা যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই নেপালের সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি দুটো ভাগে ভাগ হয়ে যায়।
প্রথম থেকেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি একনিষ্ঠ কমিউনিস্ট পরিপন্থী হিসাবে পরিচিত ছিলেন। হিন্দু রীতি রেওয়াজ মেনে চলা এবং একেবারেই মন্দির যাত্রার বিরুদ্ধে ছিলেন তিনি। এমনকি সর্বসমক্ষে বেশ কয়েকবার তাঁকে বলতেও শোনা গিয়েছিল- ‘ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব নেই। যদি ঈশ্বর থেকেই থাকেন, তাহলে কালমার্ক্স ছিলেন ঈশ্বর’।
আচমকাই গত ২৫ শে জানুয়ারি ওলির আচরণে বদল ঘটতে দেখা যায়। ওইদিন সস্ত্রীক নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি পশুপতিনাথ মন্দিরে গিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে সেখানে ঈশ্বরের আরাধনা করেন। ওলির পুজোর জন্য সেখানে ঘিয়ের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রদীপ জ্বালানো হয়েছিল।
মন্দির দর্শন পর ওলি ঘোষণা করেন, তাঁর সরকার ভগবানের জন্য রূপোর বদলে ১০৮ কিলো সোনার জলওয়ারি লাগাবে। যার জন্য সরকার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল। এমনকি সোনা কেনার জন্য সাংস্কৃতিক মন্ত্রী ভানু ভক্ত আচার্য্যকে ৫০ কোটি টাকা অবধি বরাদ্দ করার কথা জানিয়েছেন।
ওলির মন্দির দর্শনের তিনদিন পর মন্দির কমিটি একটি বৈঠক করেন। আলোচনা হয়- নেপাল রাষ্ট্র ব্যাঙ্ক থেকে এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সোনা আনা হবে। এই কাজের জন্য কারিগরও নিযুক্ত করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে যখন ওলি বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়েছে সাধারণের মনে, ঠিক সেই সময়ই ওলির ভক্তি প্রেম জেগে ওঠে। পাশাপাশি ওলির ইচ্ছা আগামী ১১ ই মার্চ অর্থাৎ শিবরাত্রির আগেই এই জলওয়ারি তৈরি করতে হবে। তবে মন্দির কমিটি জানিয়েছে, ১৪ ই মে’র আগে এই কাজ কোনভাবেই সম্ভব নয়।