বাংলা হান্ট ডেস্ক : বলিউডের নয়ের দশকের সেরা সিঙ্গারদের তালিকা তৈরি করতে বললে সবার আগে যে নামটা আসবে তা হল কুমার শানু (Kumar Sanu)। রাহুল দেব বর্মণ (RD Barman) থেকে শুরু করে একাধিক নামীদামী সেরা সুরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। দেশবাসীকে উপহার দিয়েছেন একাধিক সব মনোমুগ্ধকর গান। একথা বলাই বাহুল্য যে, একটা গোটা প্রজন্ম বুঁদ হয়েছিল কুমার শানুতে।
যে গায়কের কন্ঠে উঠে এসেছে ‘আশিকি’, ‘এক লড়কি কো দেখা তো’, এর মত একাধিক হিট গান, এবার তার গলাতেই শোনা গেল অভিমানের সুর। আর সেই অভিমান কিন্তু তার ভক্তদের উপর নয়। কারণ তিনি জানেন তার ভক্তরা তার প্রতি ভালোবাসায় কোনও খামতি রাখেনি। তবে এই আক্ষেপ অভিমান কার উপর?
আসলে শ্রোতা-অনুরাগীদের ভালবাসা তো তিনি পেয়েছেন তবে, সরকারি সম্মান কি পেয়েছেন! আর এই আক্ষেপের কথা বলতে গিয়েই ক্ষুব্ধ কুমার শানু। একথা হয়ত অনেকেই জানেন যে, গত মাসেই শেষের দিকে চলতি বছর জাতীয় পুরস্কারজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। ৬৯তম জাতীয় পুরস্কার মঞ্চে সেরা প্লেব্যাকের সম্মাননা গেছে ‘নাটু নাটু’ গানের শিল্পী কাল ভৈরবের হাতে।
আরও পড়ুন : ‘কিছু তো হয়েছেই’, ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে নুসরতকে ডাক ইডির, ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য চিরঞ্জিতের
এদিকে সেরা গায়িকা হিসেবে আবারও জাতীয় পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল। এই প্রসঙ্গে যদিও কুমার শানু বেজায় খুশি। তবে তার নিজের কথা উঠতেই ঝরে পড়ল অভিমানের সুর। তিনি বলেন, “জাতীয় পুরস্কার, পদ্মভূষণও পাওয়া উচিত ছিল। আর এগুলো নিয়ে ভাবি না। খারাপ তো লাগেই, কষ্টও হয়। তবে এটা বুঝি, তেল দেওয়ার মতো ক্ষমতা না থাকে এই সব সম্মান পাওয়া যায় না।”
আরও পড়ুন : ‘আমাকে তো ব্যবহারই …’, ‘আবার প্রলয়’ সফল হতেই বিস্ফোরক কৌশানি
এখানেই থেমে না থেকে কুমার শানু আরও বলেন, “এখন এটা সবাই বোঝেন। সাধারণ দর্শক ও শ্রোতারও এইসব নিয়ে ওয়াকিবহাল। তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মানসিকতা থাকলে তবেই এখন পুরস্কার পাওয়া যায়।” গায়কের সংযোজন, “সরকার যদি যোগ্য মনে করে, তা হলে দেবে। না দিলে আমি কী করব।” উল্লেখ্য, গত ৪ দশকে শানু যে কত হিট গান উপহার দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই। এছাড়া ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। তবে অধরা রয়েছে জাতীয় পুরস্কারটাই। এখন দেখা যাক আগামী দিনে শানুর এই অভিমান দূর হওয়ার কোনও ব্যবস্থা হয় কী না।