বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই বৃহত্তর আন্দোলনে নামার উদ্দ্যেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তিনি। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন জায়গায় যে অর্জুন সিংয়ের শাসকদলে যোগদান এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। যদিও এই সমস্ত দাবিই অস্বীকার করেছে বিজেপি। কিন্তু এবার এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
বৃহস্পতিবার রাজারহাটে ইফতারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং প্রসঙ্গে নাম না করেই সরব হন কুণাল। তিনি বলেন, ‘কোনও বিজেপি সাংসদ যখন বলেন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় কাজ করছে না, বাংলার দাবি আদায় করার জন্য বা বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসকেই দরকার, তাহলে বুঝে নিতে হবে বিজেপিই হচ্ছে বাংলার শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আলাদা করে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। লোকসভায় কেউ জিতেছিলেন। কিন্তু বিধানসভায় তাঁর এলাকা গুলিতেই বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই পছন্দ করছেন মানুষ। বিজেপি কোনও মতেই বাংলার ভালো চায় না। বিজেপি শুধু মাত্র ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করে ধর্মীয় মেরুকরণ করে ক্ষমতার জন্য। বাংলায় শীত গ্রীষ্ম বর্ষা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসই ভরসা। সাংসদের কথা থেকেই সেটা ভালোই বোঝা যাচ্ছে। তিনি বিজেপিতে হঠাৎ নাম।লেখাতে গেছিলেন এবার বিলম্বিত বোধহয় হচ্ছে।’
সম্প্রতি পাট শিল্পের বেহাল অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, ‘রাজ্যের ১৪টি জুট মিল বন্ধ। আরও ১০টি বন্ধের মুখে। জুটমিল শ্রমিক, পাটচাষি এবং তাঁদের পরিবার মিলিয়ে আড়াই কোটি মানুষ চরম সঙ্কটে। কেন্দ্রের একাধিক মন্ত্রকে বহুবার আবেদন করেছি। চিঠি লিখেছি শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রকে। কিন্তু কেন্দ্র কর্ণপাতই করেনি। এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নেই। আমার রাজনৈতিক উত্থান, কর্মকাণ্ড সবই জুটমিল কর্মীদের ঘিরে। আমি আগে তাঁদের স্বার্থ দেখব। কোন দল, কোন সরকার কী মনে করল, আমার কিছু যায় আসে না।’
এখানেই শেষ নয়, এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবির প্রেক্ষিতে সত্ত্বর কেন্দ্রের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না পেলে জুন মাসের মধ্যে তিনি তৃণমূলে ফিরবেন বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে সূত্র মারফত। সব মিলিয়ে যে বেশ তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি তেমনটাই মত পর্যবেক্ষক মহলের।