বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission) হোক কিংবা গ্রুপ ডি এবং প্রাইমারি টেট নিয়োগ! একের পর এক দুর্নীতিতে শিক্ষাক্ষেত্রের ভয়াবহ রূপ সামনে উঠে এসেছে। রাজ্যে লাখ লাখ পড়ুয়াদের ভাগ্য নিয়ে খেলে চলেছে রাজ্য সরকার, এই অভিযোগে ক্রমশ তাদেরকে বিদ্ধ করে চলেছে বিরোধী দলগুলি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলাগুলি ওঠার পর থেকেই একাধিক তৃণমূল নেতাদের সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়, যা নিয়ে ক্রমশ দেওয়ালে পিঠ থেকে চলেছে শাসকদলের আর এই পরিস্থিতি মাঝে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি বক্তব্য সেই বিতর্ক আরো বহুগুণে বাড়িয়ে তুললো।
বিরোধী দলগুলোকে আক্রমণ করতে গিয়ে তাঁর একটি মন্তব্য এদিন জল্পনা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। কুণাল ঘোষের দাবি, “উপরতলার অনুরোধে অনেকসময় নিয়োগ করতে হয়।” তবে তৃণমূল নেতা এই ‘উপরতলা’ বলতে কাদের কথা বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অনেক প্রশ্ন।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, “বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে নিয়োগ প্রসঙ্গে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা উচিত নয়। বিরোধী দলগুলি একের পর এক আক্রমণ আমাদের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে, এটা অনুচিত।” এরপরই তিনি বলেন, “উপরতলার অনুরোধে অনেক সময় নিয়োগ করতে হয়। বেশি ঘাঁটতে যাবেন না, তাহলে অনেক কিছু বের হয়ে যেতে পারে।” তবে কুণাল ঘোষের বক্তব্য-এ এই ‘উপরতলার মানুষ’ আসলে কারা, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় জল্পনা। তবে কি তিনি নিজের দলের নেতাদের ইঙ্গিত করেছেন, নাকি তাঁর আক্রমণে কেন্দ্রবিন্দুতে কেবলমাত্র বিরোধীদল, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।
তবে এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিজেপি এবং সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলোকে একযোগে আক্রমণ করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের শাসনকালে চাকরির নিয়োগ নিয়ে বহু দুর্নীতি হতো। আপনি যদি ত্রিপুরা বিজেপি সরকারের দিকে তাকান, তবে দেখবেন শিক্ষকদের কিভাবে চাকরি হারাতে হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে।” তবে কুণাল ঘোষের বক্তব্যর অন্যান্য বিষয়গুলি ছাপিয়ে গিয়েছে ‘উপরতলার’ প্রসঙ্গ, যা নিয়ে ভবিষ্যতে শাসকদলের অস্বস্তি যে আরও বাড়তে চলেছে, তা অনস্বীকার্য।