বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রসন্ন রায়ের (Prasanna Roy) বাড়ি থেকে বিজেপি (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সম্পত্তির দলিল মেলার ঘটনায় ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এই ঘটনাটি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন দিলীপবাবু আর এবার বিজেপি নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, প্রাথমিক টেট থেকে শুরু করে একের পর এক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা হেফাজতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, অশোক সাহাদের গ্রেফতার করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অপরদিকে শাসক দলকে কোণঠাসা করতে মরিয়া বিরোধী দলগুলি।
উল্লেখ্য, অতীতেও একাধিক সময় তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের হেফাজতে নেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষেরা। তবে এর মাঝেই বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের সম্পত্তির দলিল মেলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। সিবিআইয়ের দাবি অনুযায়ী, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘মিডল ম্যান’ প্রসন্নর বাড়িতে বিজেপি নেতার সম্পত্তির দলিল কিভাবে গেল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন কুণাল ঘোষ।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণালবাবু বলেন, “নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্ন রায়কে ‘মিডল ম্যান’ বলা হয়েছে। এবার তার বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের সম্পত্তির দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। এই নথি প্রথমে সিবিআই আদালতে পেশ করতে চায়নি। তবে বিরোধীদের আইনজীবী এই সংক্রান্ত প্রশ্ন তুললে সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সিজার লিস্ট পেশ করা হয়।”
এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে তৃণমূল নেতা বলেন, “অতীতে যে ব্যক্তি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনে, এবার তার দলিল শেষপর্যন্ত উদ্ধার হল। আসলে এই সংক্রান্ত নথি গোপন করার চেষ্টা করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। তবে বর্তমানে আমাদের দাবি, অবিলম্বে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে। ওকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? দিলীপবাবুকে প্রসন্ন রায়ের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।”
পাশাপাশি এদিন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “আমরা দেখছি সিবিআই অন্যান্য ব্যক্তিদের বেনামী সম্পত্তির ব্যাপারে উল্লেখ করছে। কিন্তু বর্তমানে দিলীপ ঘোষের নামে একটা জিনিস উদ্ধার করা হলো, এক্ষেত্রে তার দলের নেতারা যুক্ত রয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে জানা প্রয়োজন। সিবিআই এই বিষয়টিকে গোপন করার চেষ্টা করেছিল। অতীতেও দিলীপ ঘোষের আত্ম সহায়ক কোটি টাকার ব্যাগসহ আসানসোল স্টেশনে ধরা পড়ে। পরবর্তী সময়ে তা নিয়ে কি হয়েছে, কেউ জানে না। তবে বর্তমানে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খতিয়ে দেখুক সিবিআই ও ইডি।”