বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আমার কাঁধে বন্দুক রেখে সারদার টাকা নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে জেল হেফাজত এড়ানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন’, এদিন ফের একবার বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit shah) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি।
সারদা কাণ্ড নিয়ে অতীতেও একাধিক সময় মুখ খুলতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। এক্ষেত্রে তাঁর জেল হাজতবাস যে বড়সড় চক্রান্ত ছিল এবং এই ঘটনায় একাধিক নেতা মন্ত্রী জড়িত রয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে অতীতেই একাধিকবার দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
গতকাল সেই প্রসঙ্গে একটি টুইট করে কুণালবাবু লেখেন, “শুভেন্দু, আমার প্রশ্নের উত্তর না দিতে পেরে জেলের কথা বলো। হ্যাঁ, আমি জেলে ছিলাম। তোমরা সারদার টাকা নিয়েছিলে। চক্রান্তে বন্দি করেছিলে। আইনি লড়াই চলবে। কিন্তু, তুমি তো জেলখাটা খুনের আসামীর অবৈধ রাজনৈতিক সন্তান। যার পায়ে হাত দিয়ে বিজেপিতে গেলে, তার জেলটা কি তাজমহল ছিল?”
পরবর্তীতে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে পুনরায় একবার শুভেন্দু অধিকারী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “আমি যখন কোনো রাজনৈতিক প্রশ্ন করি, তখন শুভেন্দু অধিকারী পালান। আসলে ওর কাছে কোন উত্তর নেই। ও খালি বলে যে, আমি জেলে ছিলাম। আমি বলতে চাই, এটা কিন্তু সবাই জানে। তবে তবে আমি এটাও বলবো যে, আমার কাঁধে বন্দুক রেখে সারদার টাকা নেওয়া হয়েছিল আর শুভেন্দু জেল হেফাজত এড়ানোর জন্যই বিজেপিতে যোগদান করেছে। আর ও যে অমিত শাহের পা ছুঁয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলো, সেই নেতা একসময় একটি খুনের মামলায় জেল হেফাজতে ছিল। তাহলে সেই জেলটা কি জেল ছিল না, ওটা কি তাজমহল ছিল?”
একইসঙ্গে সম্প্রতি বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে কটাক্ষ করেন তৃণমূল মুখপাত্র। পুলিশের উপর বিজেপির আক্রমণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ত্রিপুরা থেকে বিজেপির লোক এনেছিল আর তারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। যেভাবে ওই দিন গুন্ডামি করা হয়েছিল, তা অনুচিত। আপনারা দেখেছেন, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে গুন্ডামিতে দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ত্রিপুরা। ওদের ওখানে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার রয়েছে। আর সেখান থেকে লোক এনেই বাংলায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের পুলিশের উপর মারধর করা হয়। বহু পুলিশকর্মী বর্তমানে জখম হয়েছেন।”
প্রশাসনের প্রশংসা করে কুণালবাবু বলেন, “পুলিশ যে ভাবে ওইদিন সংযত থেকেছে, তা প্রশংসনীয়। তা না হলে বিতর্ক আরো বাড়ত। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে মারধর থেকে শুরু করে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে এখন ওরা লুকিয়ে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি মানুষকে অনুরোধ জানাবো, যদি এরকম কাউকে দেখে থাকেন, তাহলে স্থানীয় থানায় খবর দেওয়ার মাধ্যমে তাদের চিনিয়ে দিন।”