বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন থেকে সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি ইস্যু। শাহজাহান, শিবুরা গ্রেফতার হওয়ার পর উত্তর ২৪ পরগনার এই এলাকার পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত। তবে আদালতে চলছে একাধিক মামলা। বুধবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ঘটনায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। গতকাল থেকেই তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিকে ভোটের আগে আদালতের এই রায়কে বিঁধে তীব্র সমালোচনা করেছে বঙ্গ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool)।
গতকাল তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই সন্দেশখালি ইস্যুতে আদালতের সমালোচনা করেন কুণাল।তৃণমূল নেতার মুখে উঠে এল প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও।
কুণালের কথায়, ‘‘এভাবে কোনও জায়গা থেকে ঘন ঘন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আসলে মনে হয় আরও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অপেক্ষা করে রয়েছেন। পরে কোনও নির্বাচনে তাকে বা তাদের হয়তো বিজেপির প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে।’’ সরকার বিরোধী কড়া নির্দেশ এলেই মনে হয় একটা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চলে গেছেন, কিন্তু কয়েকটি ছায়া রেখে গেছেন!
কুণাল আরও বলেন, ”অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিদের মধ্যে সরকার বিরোধী, তৃণমূল বিরোধী, বিজেপি পন্থী মনোভাব কাজ করছে। একজন পদ ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আরও কয়েকজন অভিজিৎ এরপর তালিকায় আছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ।” ‘এদের উদ্দেশ্য নির্বাচনের মুখে বিরোধীদের অক্সিজেন জোগানো আর সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলা। ”
যদিও কুণাল এসব বলার মাঝে বারংবার বলে গিয়েছেন, তারা বিচারব্যবস্থাকে পূর্ণ সমর্থন করেন, বিচারপতিদের প্রতি তাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। বিচারব্যবস্থা এবং বিচারপতিদের প্রতি ‘সম্পূর্ণ আস্থা’ রয়েছে। তবে তার আক্রমণের নিশানায় ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতিরাই।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই তিহাড় জেলে যাবেন তৃণমূলের এই প্রার্থী! দাবি ঘিরে শোরগোল
প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালি মামলার শুনানি ছিল। আগেই ইডির আধিকারিকদের উপর হামলায় ঘটনায় আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছিল। এবার সন্দেশখালিবাসীর বাকি সমস্ত অভিযোগের তদন্তভারও সিবিআই-কে দিয়েছে হাইকোর্ট।