বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আজকের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে চলতি বছরে দুবার হেরেছে ফ্রান্স। একাধিক তারকা ফুটবলারের চোট আঘাতে বিপর্যস্ত দল। রয়েছে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে পরের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার মিথের চাপ। সেই সমস্ত বাধা কাটিয়ে ফ্রান্স যে ডেনমার্ককে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের যোগ্যতা নিশ্চিত করল তার কারণ একটাই। সেই কারণের নাম হলো কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তরুণ ফ্রেঞ্চ ফুটবলার ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে মোট চারটি গোল করেছিলেন। গোল পেয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালেও। এই বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচেই তিনটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন ফ্রেঞ্চ তরুণ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিজে গোল করেছিলেন এবং অলিভার জিরুকে দিয়ে গোল করিয়েছিলেন। আজ ডেনমার্কের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জয় উপহার দিলেন।
ডেনমার্ক পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছে। ৬১ মিনিটে এমবাপ্পে প্রথম গোল করার পর ৬৮ মিনিটে সমতা ফিরিয়েছিলেন ডেনমার্কের ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ানশন। এরপরে দুই দলই একাধিক সুযোগ তৈরি করে। তারমধ্যে একবার ফ্রান্সকে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে রক্ষা করেন তাদের গোলরক্ষক এবং অধিনায়ক হুগো লরিস।
মাঝমাঠে অসাধারণ খেলছিলেন ফ্রেঞ্চ মেডফিল্ডার আন্তনীয় গ্রিয়েজম্যান। শেষপর্যন্ত তিনিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে। ডান প্রান্ত থেকে ভাসানো তার বিপজ্জনক ক্রসে লাফিয়ে উঠে হাঁটু ঠেকিয়ে আজকের জয়সূচক গোলটি করেছেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে সঙ্গে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় জিনেদিন জিদানকে টপকে গিয়েছেন এমবাপ্পে। এইমুহূর্তে তার এবং লিওনেল মেসির বিশ্বকাপ গোল সংখ্যা সমান। কিন্তু মেসির চেয়ে ১১ টি ম্যাচ কম খেলেছেন তিনি।
ডেনমার্ক প্রথম ম্যাচে তিউনিশিয়ার সঙ্গে ড্র করলেও আজ যথেষ্ট লড়াই করেছে তারা। আজ হেরে গেলেও তারা টুর্নামেন্ট থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায়নি। পরের ম্যাচে গ্রুপে এইমুহূর্তে দুই নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে হারালেইতাদের সামনে সুযোগ চলে আসবে নকআউট পর্বে যাওয়ার। সেক্ষেত্রে অবশ্য আরেকটি ব্যাপার ও নিশ্চিত করতে হবে যা হলো ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যেন কোনভাবেই বড় ব্যবধানে জয় না পায় তিউনিশিয়া, যা একেবারেই অস্বাভাবিক।