বাংলা হান্ট ডেস্ক: অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে পরিস্থিতি অনেকটাই আশঙ্কাজনক ,জানাচ্ছেন মৎস বিক্রেতারাই। শ্রাবণ মাস চলছে । সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার বিধিনিষেধও উঠে গেছে। তাও ইলিশের দেখা নেই রাজ্যের বাজারে। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও ভরা শ্রাবণ দক্ষিণবঙ্গে দেখা নেই বৃষ্টির। অনাবৃষ্টির কারণে মন্দা দেখা দিয়েছে শস্যর বাজারে ও। এককথায় এই অনাবৃষ্টির ফলে মাথায় হাত পড়েছে খাদ্যরসিক বাঙালির।
ইলিশ বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখন যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে, তার ৭০+৮০ শতাংশই হিমঘরের ,গতবছরের সংরক্ষণ। এই ইলিশ ক্রেতাদের চোখে দেখতে ভালোলাগলে ও মনের আশ মেটাতে পারছে না একেবারেই। অন্যদিকে ডায়ামন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, দিঘার সমুদ্রে ট্রলার গেলেও ইলিশ তোলার প্রশ্নে ব্যর্থ হচ্ছেন তারা। কম বৃষ্টিপাতের কারণে মোহনাতেও ঢুকছে না সমুদ্রের ইলিশ। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত ইলিশ না থাকায় চলতি বছর বিভিন্ন রেস্তোরায় হওয়া ইলিশ পর্বন ও বন্ধ করে দিতে হয়েছে কতৃপক্ষ কে।
ইলিশ ব্যবসায়ী সন্দিপ বল জানিয়েছেন, “অন্যান্য বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে যথেষ্ট জোগান থাকে। তবে এ বছর বৃষ্টি না হওয়ায় অবস্থা খুবই খারাপ, আশা করছি বৃষ্টি হলেই অবস্থার পরিবর্তন হবে হবে।” হাওড়া, শিয়ালদহ, পাতিপুকুরে মাছ বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের দাম স্বাভাবিক অর্থাৎ ৫০০-৬০০ মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। একে তো তা মধ্যবিত্ত দের নাগালের বাইরে, তাছাড়া সেগুলি দেখতে বড় হলেও স্বাদে একেবারেই নিম্নমানের।ইলিশ প্রেমীদের মন জড়ানো ইলিশ কবে বাজারে উঠবে তা কেউই বলতে পারছেন না এখনও।