বাংলাহান্ট ডেস্ক : পাহাড়কে ভালোবেসে মায়ের সঙ্গে গরমের ছুটিতে ঘুরতে এসেছিল একরত্তি মেয়েটা। কথা ছিল টয়ট্রেনে বসে ঘুরে দেখার স্বপ্নের দার্জিলিংকে। কিন্তু সেই স্বপ্নপূরণের ঘন্টা খানেক আগেই ঘটল স্বপ্নভঙ্গ। মেয়ের স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় কার্যতই ক্ষোভে গর্জে উঠলেন মা।
কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক? ঘটনাটি দার্জিলিং এর। ছোট্ট মেয়ের শখ ছিল টয়ট্রেন চড়ে দার্জিলিং দেখার। সেই মতন দার্জিলিং টয়ট্রেনে জয় রাইডের স্টিম ইঞ্জিন ভিস্তাডোমে দিন পনেরো আগেই বুকিং করেন হায়দ্রাবাদ নিবাসী প্রবাসী বাঙালি ওই মহিলা। কিন্তু বুধবার ট্রেনে উঠতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই তাঁদের জানানো হয় ভিভিআইপি দের জন্য বুকিং বাতিল করে রিশিডিউল করা হয়েছে ট্রেনটিকে। এমনকি তাঁকে ডিজেল ইঞ্জিনের অন্য কোনও ট্রেনে চড়ার কথাও বলা হয়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলা।
দার্জিলিং টয়ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়েই দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টার সময় জানতে পারি ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। কেন? কারণ একজন ভিভিআইপি ওই ট্রেনে যেতে চাইছেন। রেল কর্তৃপক্ষ আগে থেকে জানতেন না যে একজন ভিভিআইপি আসছেন? হঠাৎ করে সকালে এসে কি তাঁরা বলেছেন আমরা দার্জিলিঙের ট্রেনে বসতে চাই?’ কান্নাভেজা গলায় তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ের জন্য ১৫ দিন আগে এই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। এভাবে কোনও কিছু চলতে পারে না। আমাদের ডিজেল ট্রেনে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ডিজেল ট্রেনে যাওয়ার থাকলে ১৫০ টি ট্রেনের মধ্যে থেকে এই ট্রেনটিকেই কেন বাছতাম?’ এরপর সেই ট্রেনে ওঠার জন্য রীতিমতো জেদ ধরে বসেন তিনি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েস এর ডিরেক্টর এ কে মিশ্র জানিয়েছেন, ‘ওই মহিলার ট্রেনটি রিশিডিউল করা হয়েছিল। কোনও ভিভিআইপি এর কারণে তা করা হয়নি। যান্ত্রিক গোলযোগের কারনেই তা করা হয়৷ মহিলা এমন জেদ ধরেন যে বাধ্য হয়েই ওই ভিভিআইপি ট্রেনেই চড়তে দিতে হয় তাঁদের।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ওই ভিভিআইপি ট্রেনটিতে ভ্রমণ করছিলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ। তার সেই বিষয়টিকে নিয়েই শুরু হয় এই গোলমাল। স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে পুরো ঘটনার ভিডিওই।