বাংলাহান্ট ডেস্ক : শ্যামনগরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার মধ্যেই বড়সড় রকমের দুর্ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত এক মহিলা। তড়িঘড়ি মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন শ্যামনগরের সভা ছিল ভীড়ে ঠাসা। কার্যতই মানুষের ঢল চারিদিকে। সবে মাত্র মঞ্চে উঠে বক্তৃতা শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তখনই মাঠের মধ্যে শুরু হয়ে যায় একটি গোলমাল। প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায় ভীড়ের মধ্যে।
সেই শোরগোলের মধ্যেই খোঁজ নিজে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জানতে পারেন যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন এক মহিলা। তাঁর জখম এতটাই গুরুতর যে মাঠের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। এই খবর পাওয়া মাত্র আর এক মুহুর্তও সময় নষ্ট করেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে মাঠ থেকে মহিলাকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
তৃণমূল নেতার নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়ে গিয়ে মহিলাকে উদ্ধার করেন পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তাঁকে তোলা হয় অ্যাম্বুলেন্সে। এরপর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি হাসপাতালে। এদিন সভায় বক্তৃতা শেষে আবারও আহত মহিলার খবর নিতে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাইই নয়, সভার পর মহিলার সঙ্গে দেখাও করে তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শ্যামনগরের এদিনের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সভাটি রাজনৈতিক দিক থেকে অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ। এই সভাতেই সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক তথা অর্জুন সিং এর ছেলে পবন সিং এর। অর্জুন সিং তৃণমূলে ফেরার পর আবারও একজন সাংসদ হারিয়েছে বিজেপি। এবার এদিন পবন সিংও তৃণমূলে দিলে আরও এক বিধায়ক হারিয়ে যে টালমাটাল হয়ে পড়বে বঙ্গ বিজেপির পরিস্থিতি তেমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের।