বাংলা হান্ট ডেস্ক : আশিস বিদ্যার্থীর পর লক্ষ্মণ শেঠ (Laxman Seth Marriage), ৭৭ বছরে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান রাজনীতিকের দ্বিতীয়বার বিয়ে করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর জল্পনা। এই বিয়ের বিষয়ে জানা ছিল না, জানান লক্ষ্মণ শেঠের ছেলেও। এই প্রথম নিজের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন লক্ষ্মণ শেঠ স্বয়ং।
কলকাতা প্রেস ক্লাবে শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় জীবনে ‘সেকেন্ড ইনিংস’ শুরু করা নিয়ে। তিনি জবাব দেন, ‘সেকেন্ড ইনিংস তো এখনও শুরু হয়নি। এখনও মাঠের বাইরে আছি। মাঠে নামি তারপর বলব।’
সাতাত্তর বছর বয়সী বঙ্গ রাজনীতিক তথা হলদিয়ার একসময়কার দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম নেতা লক্ষ্ণণ শেঠ (Lakshman Seth) বিবাহিত জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর বোধহয় নানান কথাই ফের উপলব্ধি করছেন। সদ্যই সেরেছেন রেজিস্ট্রি বিয়ে। অনুষ্ঠান এখনও বাকি। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন লক্ষ্মণ শেঠ।
এভাবেই চলছিল জীবন। কিন্তু একটা জীবন এভাবে কাটিয়ে দেওয়া কি এতই সহজ? মোটেই না। তাই দ্বিতীয়বার জীবনসঙ্গী খুঁজে নিলেন ৬৮ বছরের রাজনীতিক। মানসী দে নামে বছর বিয়াল্লিশের নারীকে বিয়ে করলেন। পাঁচতারা হোটেলে উচ্চপদে কর্মরত মানসী এখন পুরোদস্তুর ‘মিসেস শেঠ’। রেজিস্ট্রি আর মালাবদলেই জীবনসঙ্গীর অঙ্গীকা করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার সাংবাদিকরা তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে লক্ষ্মণ শেঠের সাফ জবাব, ‘আমার একজন সর্বক্ষণের প্রিয় মানুষকে দরকার ছিল। কাছের মানুষকে পাশে রাখতে এই সিদ্ধান্ত। যাকে বিয়ে করেছি তিনি সুশিক্ষিতা, কোনও রাজনীতি করেননি।
তবে তিনি রাজনীতি সচেতন। এমন একটা মানুষকে দরকার যাঁর সঙ্গে দিন শেষে গল্প করা যায়।’ এই-ই আসল কথা। এ জীবনের সমস্ত লেনদেন শেষে অন্ধকার নেমে এলে মুখোমুখি বসার ‘বনলতা সেন’ সকলের কাছেই বড় দামি।
এদিন নিজের প্রথম স্ত্রীর প্রসঙ্গও শোনা গিয়েছে তাঁর কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম স্ত্রী তমালিকা অত্যন্ত বুদ্ধিমতী মহিলা ছিলেন। কবি সাহিত্যিক হন। স্বাভাবিকভাবে দ্বিতীয় ইনিংসে যাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি তিনিও সেই পথেই যাবেন।’