বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কল্পতরু মমতা। ‘দুয়ারে রেশন’,’স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’,’লক্ষী ভান্ডার’ সহ একাধিক প্রকল্প জনসাধারণের জন্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু করোনা মহামারীর জেরে কার্যত আর্থিক মন্দা চলছে রাজ্যে। তার মধ্যে এই এত নতুন প্রকল্পের অর্থ যোগাতে এখন হিমশিম সরকারি আমলা ও আধিকারিকরা। এবারে দুয়ারে সরকারের মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্প। ইতিমধ্যেই প্রায় দু’কোটি আবেদন জমা পড়েছে এই প্রকল্পের জন্য।
নবান্ন সূত্রে খবর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে হলে রাজ্যের অর্থ ভান্ডার থেকে খরচ হবে এক বিপুল পরিমাণ টাকা। অঙ্কটা বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি। তাও রাজ্যের তরফে সুবিধাভোগী মহিলাদের সংখ্যা দু’কোটি ধরেই এগোনো হচ্ছে, অর্থাৎ পরবর্তী ক্ষেত্রে এই সংখ্যা যদি আরও বাড়ে তাহলে ক্রমশ বাড়বে খরচের চাপও। অর্থ দপ্তরের আধিকারিকদের মতে দু’কোটি মানুষকে প্রতিমাসে এই সুবিধা দিতে গেলেই খরচ হবে ১৩০০ থেকে ১৪০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে আবেদনের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
গতবার দুয়ারের সরকারে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য ভিড় ছিল সবথেকে বেশি। এবার মূলত লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন বেশিরভাগ মহিলা। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞরা অনেকেই বলে এসেছেন তৃতীয় বার মমতা সরকারের ক্ষমতায় আসার পিছনে বাংলার মা-বোনেদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর সেই কারণেই সরকারে আসার পর থেকেই মহিলাদের জন্য কার্যত কল্পতরু মমতা ব্যানার্জি। তবে অন্যদিকে বাড়ছে খরচের চাপও।
তবে সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প যে বাংলার মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে তা বলাই বাহুল্য। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হোক বা লক্ষী ভান্ডার জনগণের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে যাওয়ায় খুশি সকলেই। কিন্তু রাজ্যের অর্থকোষ প্রতিমাসে এই ভার সামলাতে কতটা হিমশিম খাবে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।