পয়লা বৈশাখের আগেও বিক্রি নেই লক্ষ্মী-গণেশের, মাথায় হাত বর্ধমানের মৃৎশিল্পীদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাত পোহালেই নববর্ষ,( New year) বাংলা বছরের প্রথম দিন। ছোট বড় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তো বটেই, দোকানে দোকানেও এদিন গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজো হয়। এই রীতি দীর্ঘদিনের। তবে করোনাভাইরাসের জন্য যে দেশজোড়া লকডাউন (lockdown) চলছে এবার তাকেও ছেদ পড়তে চলেছে।

corona 18

এই অবস্থায় এখন মাথায় হাত পড়েছে বর্ধমানের (burdwan)মৃৎশিল্পীদের। কয়েকটি অত্যবশ্যকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া বাকী সব বন্ধ। বন্ধ মৃৎশিল্পীদের ব্যবসাও। বিকিকিনি একেবারে লাটে উঠেছে।

পয়লা বৈশাখের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই দশকর্মা ভাণ্ডারের দোকানগুলিতে সাজানো থাকে গণেশ ও লক্ষ্মীর (Ganesh and Lakshmi) মূর্তি। বেচাকেনাও হয় রমরমিয়ে। পাশাপাশি বর্ধমান শহরের কার্জনগেট চত্বর, বিসি রোড, নীলপুর, বড়বাজার কোর্ট কম্পাউণ্ড সর্বত্রই গণেশ ও লক্ষ্মীর বাজার বসে। চৈত্র সেলের শেষ দিনে বাজারগুলিতে ভয়ানক ভিড় হয়। ভিড় ঠেলে ঢোকা দায় হয়ে ওঠে। এবার সেই দৃশ্য নেই। লক্ষ্মী-গণেশ যেমন নেই তেমনি এবার নেই ক্রেতাও।

lockdown 1

এরই মধ্যে অবশ্য মুষ্টিমেয় কয়েক জন মৃৎশিল্পী গণেশ ও লক্ষ্মীর মূর্তি নিয়ে বিক্ষিপ্ত ভাবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসেছেন কিন্তু বিক্রি নেই। তাই তাঁরাও আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। দোকানপাট বন্ধ, বন্ধ হালখাতাও।

কাটোয়ার কুমোর পাড়ারও একই অবস্থা। তৈরি হয় শয়ে শয়ে পড়ে রছে লক্ষ্মী ও গণেশের মূর্তি। ১৪ এপ্রিল লকডাউন উঠে গেলে হালখাতা পুজো হবে – এই আশায় কাটোয়ার কুমোর পাড়ার পাল বাড়িতে তৈরি হয়েছিল মূর্তিগুলি। সরকারি নির্দেশে লকডাউনের মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত হয়ে যাওয়ায় তাঁদের এখন মাথায় হাত। রাতে হয়তো লুকিয়ে চুরিয়ে দু’চার জন মূর্তি কিনে নিয়ে যাবেন। তাতে তো আর সমস্যা মিটবে না তাঁদের!

hall

এরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮ জনের সংক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সারা দেশে লফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই অবস্থায় এবছর নতুন বছরের প্রথম দিনও কাটবে ঘরে বসেই।


সম্পর্কিত খবর