বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনপ্রিয়তম প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar)। বছর তিনেক আগে শুরু হওয়া এই স্কিমের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের অগুনতি মহিলা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১০০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির মহিলাদের মাসিক ১২০০ টাকা করে দেয় সরকার। আজ যদিও রাজ্য সরকারের এই স্কিম নিয়ে নয়, বরং নয়া রূপে আত্মপ্রকাশ করা অন্য আরেক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আলোচনা করা হবে।
স্বামী-স্ত্রীর বিবাদও মেটাচ্ছে নয়া ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar)!
রোজনামচার জীবনে একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন মহিলারা। গ্রামের মহিলারাও এর ব্যতিক্রম নন। কখনও সাংসারিক, কখনও আবার বাল্য বিবাহের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। এমতাবস্থায় গ্রামের সামাজিক উন্নয়ন এবং চেতনার প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সনকডাঙা গ্রামে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্লাব’ (Club) গড়ে তুলেছেন সেখানকার মহিলারা।
জানা যাচ্ছে, বর্তমানে এই ক্লাবে প্রায় ৪০ জন সদস্য রয়েছে। গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ি থেকে একজন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রাপক মহিলাকে নিয়ে এই ক্লাব তৈরি করা হয়েছে। একটি শিব মন্দির তৈরির লক্ষ্যে এই ক্লাবের সূচনা হলেও, বর্তমানে গ্রামের নানান রকম সমস্যা সমাধানে এই ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ অপেক্ষার অবসান! একধাক্কায় ২০% DA বৃদ্ধির ঘোষণা! নববর্ষের আগেই সুখবর দিল সরকার
স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ রোধ, সব ধরণের সমস্যাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ক্লাবের (Lakshmir Bhandar Club) মহিলাদের ডাক পড়ছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই তাঁরা গ্রামের মধ্যে ৩টি বাল্যবিবাহ আটকেছেন। সেই সঙ্গেই মিটিয়েছেন সাংসারিক ঝামেলাও।
প্রায় দেড় বছর আগে শিব মন্দির তৈরির লক্ষ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মধ্যেই ৩০,০০০ টাকা জমা করে ফেলেছেন মহিলারা। প্রত্যেক মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পাওয়া টাকা থেকে ২০০-৩০০ টাকা করে ক্লাবের তহবিলে জমা করেন সদস্যারা। ইতিমধ্যেই ক্লাবের ফান্ডে জমানো টাকা দিয়ে মন্দিরের ২০০০ ইট কেনা হয়ে গিয়েছে। গ্রামের সামাজিক উন্নয়ন এবং চেতনার প্রসার ঘটাতে গ্রামের মহিলাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পুরুষরাও। সমাজের উন্নতিতে যদি বাড়ির মহিলারা এগিয়ে আসেন, তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হয়। উন্নয়নের কাজে গতি বৃদ্ধি এবং সমাজ সংস্কার করা সম্ভব হয়, বলেন স্থানীয় চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য রাজেন গোয়ালা।