বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্ষমতায় আসার পর থেকে একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার (West Bengal Government)। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো একাধিক প্রকল্পের শুভ সূচনা করে নজির গড়েছে রাজ্য সরকার। আর এই সব প্রকল্পের মধ্যে মধ্যে জনপ্রিয়তার শিখরে রয়েছে মহিলাদের জন্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প। যা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government Of West Bengal) গর্বের শেষ নেই।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকার দ্বারা চালু করা একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবারের মহিলারা প্রতি আর্থিক অনুদান পেয়ে থাকেন। এর দ্বারা সাধারণ জাতি শ্রেণীর জন্য ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি শ্রেণীর জন্য প্রতি মাসে ১,০০০ টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার।
এই প্রকল্পের আওতায় ২৫ বছর বয়সী যে কোনও মহিলা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন।এই প্রকল্প চালাতে এক বছরে রাজ্য সরকারের প্রায় ১১,০০০ কোটি টাকা খরচ হয় বলে জানা গিয়েছে। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক এই প্রকল্পটি চালু করা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের।
আরও পড়ুন: চরম ‘অসহযোগিতা’! ১৪ মাস থেকে ‘ঝোলাচ্ছে’ রাজ্য, নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে CBI
মমতা সরকারের জনদরদী এই প্রকল্পটি ২০২২ সালে স্কচ পুরষ্কার পায়। পাশাপাশি মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগ এই প্ল্যাটিনাম পুরষ্কার পেয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে এবার থেকে কিছু মহিলা চাইলেও এই প্রকল্পের সুবিধা তুলতে পারবেন না। কারা পারবেন না? কি কারণে পাবেন না?
জানা যাচ্ছে, কোনও সরকারি অথবা সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থায়, পঞ্চায়েত বা বিধিবদ্ধ কোন সংস্থা, পৌরসভা অথবা পৌরনিগম, স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থা অথবা সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে চাকরি করেন এমন মহিলারা এই প্রকল্পের আবেদন করতে পারবে না।
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আরও জানিয়েছে যে সকল মহিলারা ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করে থাকেন তারাও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। অর্থাৎ তারাও এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে না।