বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার মমতাময়ী মুখমন্ত্রী। এ রাজ্যের তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আট থেকে আশি সকলের জন্যই কোনো না প্রকল্প আনা হয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar)। এই প্রকল্পের আওতায় প্ৰতি মাসে এক হাজার টাকা করে ভাতা পান মহিলারা।
আগে এই প্রকল্পে মাসিক পাঁচশো টাকা করে ভাতা পেতেন রাজ্যের মহিলারা। তবে বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা মাসে ১২০০ এবং সাধারণ সম্প্রদায় অর্থাৎ জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলারা হাজার টাকা করে পান। রাজ্যের অধিকাংশ মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চান। তাবলে কীভাবে আবেদন করবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য, কী কী লাগবে? দেখে নিন।
এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে আবেদনকারিণীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর পরিবারকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনে নাম নথিভুক্ত থাকতে হবে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফ্রি ফর্ম নিয়ে তা ঠিকঠাক পূরণ করতে হবে। সাথে দিতে হবে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জেরক্স, আধার কার্ড।
যদি কেউ তপশিলি জাতি বা উপজাতি সম্প্রদায়ের হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই সার্টিফিকেট দিতে হবে। তার সাথে অবশ্যই যিনি আবেদন করছেন তার এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে। আবেদনকারিণী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং কোনও সরকারি সংস্থা বা চাকরি থেকে মাসমাইনে বা পেনশন পান না বলে একটি ঘোষণাপত্র দিতে হবে। সাথেই তার দেওয়া সমস্ত তথ্য সঠিক বলে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: অবশেষে! DA বাড়ছে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের! কত শতাংশ? সামনে বড় আপডেট
সরকারি আধিকারিকরা সব তথ্য যাচাই করে অনুমোদিত হলে প্রকল্পের টাকা সরাসরি আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে। এদিকে শোনা যাচ্ছে লোকসভা ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্পে আবারো বাড়ানো হতে পারে টাকার পরিমাণ। আগামী দিনে সরকার এই প্রকল্পে ১৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত অনুদান দিতে পারে বলেও জল্পনা। তবে যদিও এই বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি।