বাংলাহান্ট ডেস্ক : বন্ধ করতে হবে জোর করে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণ (Conversion)। আর তাই দরকার নতুন আইনের। সমাজের ‘দুর্বল’ অংশকে বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সোমবার আদালতে আর্থিক ও সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের সুরক্ষার প্রসঙ্গও তুলে ধরে কেন্দ্র।
এদিন সরকারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হলফনামায় পরিস্কার বলা হয়েছে, ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে কাউকে জোর করে বা প্রতারণা করে ধর্মান্তরিত করা নয়।’ শীর্ষ আদালতে মোদি সরকার জানায়, সমাজের দুর্বল অংশের সুরক্ষার জন্যই ধর্মান্তর রুখতে আইন প্রয়োজন। বিশেষ করে যাঁরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। জোর করে ও ভুল বুঝিয়ে ধর্মান্তকরণের ফাঁদে ফেলা হচ্ছে মহিলাদের।
এদিন আইনজীবী অশ্বিনীকুমার উপাধ্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতেতে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। অশ্বিনীকুমারের আবেদন ছিল প্রতারণামূলক ধর্মান্তর রুখতে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে কড়া নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। তাঁর অভিযোগ, ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, প্রতারণা করতে উপহার দেওয়া এবং আর্থিক সুবিধার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করার মতো নানা উপায়ে ধর্মান্তর করা হচ্ছে। তাঁর মতে, কোনও নির্দিষ্ট রাজ্য নয়, দেশজুড়েই এই সমস্যা ক্রমে মাথাচাড়া দিচ্ছে। একে অবিলম্বে মোকাবিলা করা দরকার। এমনটা চলতে থাকলে দেশ থেকে হিন্দুদের অস্তিত্বই মুছে যেতে পারে কিছু সময় পর।
গত কয়েক বছরে ধর্মান্তর বিরোধী আইন প্রনয়ণ করা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কিছু দিন আগেই উত্তরপ্রদেশে চালু হওয়া ধর্মান্তর বিরোধী আইনে দেশে প্রথম সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ আটকাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়। এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে।