বাংলা হান্ট ডেস্ক : অরিন্দম শীল বিতর্কে এবার চাঁচাছোলা লীনা গাঙ্গুলি (Leena Ganguly)। বিগত কয়েক দিন ধরেই যৌন হেনস্তার অভিযোগে সরগরম বাংলা বিনোদন জগৎ। কয়েকদিন আগেই পরিচালক অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ করার অভিযোগ তুলেছেন অভিনেত্রীরা। যার জেরে ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে ডিরেক্টরস গিল্ড। তবে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রথমে পরিচালক এবং অভিযোগকারিণীকে বসানো হয়েছিল মুখোমুখি। এসবের মধ্যেই এই পরিস্থিতি নিয়ে অরিন্দম শীলের দীর্ঘ দিনের সঙ্গী শুক্লা দাস পরিচালকের পক্ষ নিয়েই বলেছিলেন অরিন্দম নির্দোষ,তাকে নাকি ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
শুক্লা দাসের মন্তব্য প্রসঙ্গে লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) প্রতিক্রিয়া
এমনকি মহিলা কমিশনের প্রধান অর্থাৎ লেখিকা-পরিচালক লীনা গাঙ্গুলির (Leena Ganguly) বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের’ অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। এবার এ প্রসঙ্গে টিভি ৯ বাংলায় মুখ খুলেছেন খোদ লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly)। এদিন শুক্লা দেবীর অভিযোগ প্রসঙ্গে লীনা গাঙ্গুলি (Leena Ganguly) এদিন প্রথমেই স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, ‘শুক্লা যে সব কথা বলেছেন, তাঁর কোনও কৈফিয়ত দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তবে আপনারা প্রশ্ন করছেন বলে জানাচ্ছি।’ এর পরেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে লীনা দাবি করেছেন একসময় অভিযোগকারিণী যেমন তাঁর প্রযোজনা সংস্থার ধারাবাহিক করেছেন। তেমনি অভিযুক্ত সেই পরিচালকও লীনার ‘ইষ্টিকুটুম’ ধারাবাহিকে কাজ করেছিলেন।লীনার দাবি, ‘অভিযোগকারিণী তিন বছর আগে আমাদের ধারাবাহিকে অভিনয় করতেন। তা হলে দু’জনের অবস্থানই এক। তাই পূর্বপরিচিত বলে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ টিকবে না।’
এছাড়াও এদিন লেখিকা জানান অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমেই মহিলা কমিশনের তরফে পরিচালককে ডেকে কথা বলা হয়েছিল।আর পরের দিন দু’পক্ষকে মুখোমুখি বসিয়েই কথা শোনা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে লীনা গাঙ্গুলি বলেছেন, ‘পরিচালক সাক্ষী হিসাবে এমন একজনকে এনেছিলেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন পরিচালকের সঙ্গে। সেই সাক্ষী ঘরে ঢুকে পরিচালকের দিকে তাকিয়ে হাসেন। সেটাও আমরা খেয়াল করেছি। সাক্ষী হিসাবে যাঁরা পক্ষপাতিত্ব করেননি, তাঁদের সকলের কথা আমরা শুনেছি। এবার বলি, মহিলা কমিশন এই বিষয়টা যখন ডিল করছে, সেই সময়ে পরিচালক বার বার আমাকে ফোন করেছেন। আমি ফোন ধরেছি। সব কল রেকর্ডিং আছে। তাঁর পাঠানো সব বার্তাও আছে।’
আরও পড়ুন : ‘মা তোমার আরেকটা চোখ কোথায়?’ ছেলের কথা শুনে অবাক কোয়েল মল্লিক
এরপরেই চাঁচাছোলা ভাষায় শুক্লা দাসকে একহাত নিয়ে লীনা বলেন, ‘উনি নিজেই বলেছেন, আমি যেভাবে বিষয়টা নিয়ে কাজ করেছি, সেটা নিরপেক্ষ। তা হলে শুক্লা দাস, যিনি পরিচালকের স্ত্রী নন, কীভাবে দাবি করছেন যে, মহিলা কমিশনের কাজে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে? শুক্লার দাবি আমাদের কাছে অত্যন্ত অবমাননাকর। মহিলা কমিশন আদালত নয় যে, কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে শাস্তি দেওয়া হয়। বরং এখানে দু’পক্ষকেই তাঁদের কথা বলতে দেওয়া হয়।’
এখানেই শেষ নয় এরপরেই অরিন্দম শীলের মন্তব্য প্রসঙ্গে লীনা এদিন বলেছেন, ‘এবার আসি, প্রধান কথাটায়। পরিচালক দাবি করেছেন, আমরা নাকি তাঁকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছি যে, তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। বিষয়টা ভুল। আমরা বলেছি, ‘আমরা আপনার মুখে কথা বসাতে পারি না।আপনি কী পদক্ষেপ করবেন, আমরা বলব না। আপনি কী করবেন, সেটা আপনি ঠিক করুন’। অভিযোগকারিণী পাবলিক অ্যাপলজি চেয়েছিলেন। তাই পরিচালক সেটা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। সেই বয়ান পরিচালকের লেখা। এই কথোপথনের যাবতীয় খুঁটিনাটি মহিলা কমিশনের কাছে আছে। প্রয়োজনে আদালতে তা দিতে আমরা প্রস্তুত।’