বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিস্ফোরক সজল ঘোষ (Sajal Ghosh)। আজ শনিবার বিকেলে তিনি কর্পোরেশনের লিগ্যাল অফিসার মোহম্মদ আনসারির মাসে চা খাওয়ার বিল পেশ করে বিজেপি নেতা (BJP Leader) জানান যে, আনসারি সাহেবের পিছনে চায়ে খরচ হয় মাসে ৩৫ হাজার টাকা।
টাকার অভাবে কর্পোরেশনে ৩০ হাজার কর্মী প্রয়োজন থাকলেও তা নিয়োগ করছে না সরকার। থমকে রয়েছে কর্পোরেশনের নানা উন্নয়নমূলক কাজ সেখানে এই ‘চা-এ পে চর্চা’র জন্য মাসে ৩৫ হাজার টাকা কিভাবে খরচ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী পক্ষ।
বাংলা হান্টকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানান, ”আমাদের কর্পোরেশনের লিগাল অফিসার হলেন মোঃ সেলিম আনসারী সাহেব। রাজ্য সরকারের আরো পাঁচটা দফতরের উনি লিগাল অফিসার। সম্ভবত নীল বাতিওয়ালা পুলিসের গাড়ি ব্যবহৃত হয় ওঁর জন্য। বর্তমানে ওঁর পেছনে কলকাতা পুরোসভার মাসে চায়ের খরচ হয় ৩৫০০০ টাকা, যেখানে কর্পোরেশনের ৩০০০০ বেশি পদে লোক নেওয়া যাচ্ছে না অর্থের অভাবে,রিটায়ার্ড কর্মচারীরা পেনশন সঠিকভাবে পাচ্ছেন না, যে মেয়র প্রতিদিন টাকা নেই টাকা নেই বলেন, শেষ ভাউচারে ৩৫০০০ টাকা চায়ের অনুমোদন তিনিই দিয়েছেন।”
কে এই সেলিম আনসারি? জানা যাচ্ছে, মহম্মদ সেলিম আনসারি ২০১২ সালে পুরসভার লিগাল অফিসার হিসাবে নিযুক্ত হন। তাঁকে নিযুক্ত করেন তৎকালীন মিউনিসিপ্যাল কমিশনার খালিল আহমেদ। দুর্নীতির শুরু সেখান থেকেই। লিগাল অফিসারের পদে সাধারণত একজন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুডিশিয়াল সার্ভিসের কোনও আধিকারিককে বসানো হয়। কিন্তু সেলিম আনসারি আদতে ওয়েস্ট বেঙ্গল লিগাল সার্ভিসের আধিকারিক ছিলেন।
শুধু একটা পদই নয়, আরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদেই রয়েছে আনসারির নাম। জানা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিসের প্রধান আইন উপদেষ্টা পদেও রয়েছন। এরই সঙ্গে রাজ্যপালের জয়েন্ট সেক্রেটারি, রাজ্য আইন মন্ত্রকের সহ সচিব পদও রয়েছে তাঁরই দায়িত্বে। জানা যাচ্ছে, আনসারি রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিশেষ ঘনিষ্ঠ এই সেলিম আনসারি। প্রশ্ন উঠছে, শুধু মাত্র একটা দফতরেই তিনি যদি ৩৫ হাজার টাকার চা খান, তাহলে বাকি ৪ দফতরের চায়ের বিল কত মেটাতে হয় রাজ্য সরকারকে?