বাংলা হান্ট ডেস্ক: আপনার কোন দুর্ঘটনা হোক বা শারীরিক ক্ষতি এমন হয়তো কেউ চায় না। কিন্তু অনেকেই এই আশাতে টাকা জমিয়ে রাখে এলআইসি তে যে তার বিপদের সময় একমাত্র পাশে দাঁড়াবে সেই একগুচ্ছ টাকা। কিন্তু হঠাৎ যদি দেখতে পান সে টাকার অঙ্কে কোপ বসিয়েছে সেই কোম্পানি। হঠাৎ বাজ ভেঙে পড়বে আপনার মাথায়। তাই সুযোগ থাকতেই বুঝে নিন সমস্ত হিসেব। হিসাব রাখতে শিখুন।চোখ সুখি স্বপ্ন দেখাবে কিন্তু সেই স্বপ্নকে বাস্তবে একবার মিলিয়ে দেখুন সচেতন নাগরিক হিসেবে হয়তো আপনিও বুঝে নিতে পারেন এই আসল সত্য টিকে।
আর্থিক দুরবস্থা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়ই বটে। যদিও সংস্থার শীর্ষস্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, সংস্থার এই বোঝা নিয়ে কোনও চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এই ক্ষতির বোঝা কতদিন টানা সম্ভব হবে তাও কেউ বলতে পারছেন না। আর এমন পরিস্থিতিতে যদি দেখেন আপনার ভাড়ার শূন্য! তখন কিন্তু আপনিও বিপদে পড়তে পারেন।
এই সংস্থাই শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পলিসি হোল্ডারের সংখ্যা ২৮ কোটির বেশি। কর্মী সংখ্যা ১.১২ লাখ। এজেন্ট প্রায় ১২ লক্ষ।রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জীবনবিমা নিগম বা এলআইসি’র ক্ষতির পরিমাণ পাহাড়প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি ২০১৯-‘২০ অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর, ২০১৯- পর্যন্ত সংস্থার ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অনুৎপাদক সম্পদ অর্থাৎ ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার পরিমাণ মোট সম্পদের ৬ শতাংশের বেশি হয়েছে। ফলে স্পষ্ট জীবনবিমা নিগমের নিজের ভবিষ্যৎই সুরক্ষিত নয়। এখন দেখার বিষয় কতটা নিজেদেরকে গুছিয়ে ওভারকাম করতে পারে কম্পানি আর মানুষকে কতটা আশ্বস্ত করে ফিরিয়ে দিতে পারে তাদের সম্পদ। তবে আশঙ্কায় ঘনীভূত হওয়ার এখনি কোন সময় আসেনি। যদি আপনি সাহসী হোন তবে অবশ্যই বিচার বুদ্ধি দিয়ে টাকা রাখতেই পারেন।