বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত ইউরোপের একটি ছোট দেশ হল লিথুয়ানিয়া (lithuania)। এই দেশের জনসংখ্যা মাত্র ২৯ লক্ষের কিছু বেশি হয়েও, তাঁরা চীনকে (china) হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েনি। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে জিনপিং-র দেশকে। চীন ও লিথুয়ানিয়ার নেতারা নিজেদের মধ্যে বাক যুদ্ধে সামিল হয়েছে। চীনের দাবি, অবিলম্বে তাইওয়ানের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে লিথুয়ানিয়াকে।
চীনের হুমকি উপেক্ষা করে লিথুয়ানিয়ার নেতা মাতাস মালদেকিস কদিন আগেই তাইওয়ানে একটি সরকারী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আর এই নেতাই বেইজিংকে ‘পিপলস রিপাবলিক অফ কমেডি’ হিসেবে বর্ণনাও করেছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস-এর প্রধান সম্পাদক হু শিজিং-এর এক ট্যুইটের জবাবে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আক্রমণ করে লেখেন, ‘লুথিয়ানাকে আক্রমণ করতে ক্লাউন পাঠাচ্ছে চীন’। হু শিজিং আগের মতই নিজের ট্যুইটে লুথিয়ানাকে হুমকি দেয় এবং লুথিয়ানার জিনিসপত্র চীনের সীমান্তে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারী করে।
২০১২ সালে চীনে শুরু হওয়া শি জিনপিংয়ের উচ্চাভিলাষী মিশন CEEC চলতি বছরেই ত্যাগ করবে বলে জানিয়েছে লিথুয়ানিয়া। এই মিশনে ১৮ টি দেশের মধ্যে চীনও যুক্ত রয়েছে। চীনের CEEC ফোরামকে লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস বিভক্ত বলে অভিহিত করেছেন। চীন মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। আবার তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে করছে লিথুয়ানিয়া।
প্রসঙ্গত, জুলাই মাসে তাইওয়ান এবং লিথুয়ানিয়া একসঙ্গে একটি অফিস খুলেছে, চীনের পরিবর্ততে তাইওয়ানের নামে নাম রাখা হয়েছে। এই কারণে চলতি বছর সেপ্টেম্বরে লিথুয়ানিয়ায় রাষ্ট্রদূতকে আবার তলব করেছিল চীন।