বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথমবার ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তীর্থ অমরনাথ ধামের (amarnath) আরতির ভিডিও সম্প্রচারিত (live streaming) হল ভক্তদের জন্য। রবিবার অমরনাথ শ্রাইন বোর্ড অমরনাথের আরতি ও দর্শনের সরাসরি সম্প্রচারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে এই মুহুর্তে অমরনাথ যাত্রার ওপর বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে কাশ্মীর সরকার। এইপরিস্থিতিতে অমরনাথ ধামের যাত্রা অনেক মানুষের পক্ষে অসম্ভব তাই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেব অমরনাথ আর তার আরতির অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী রাখতে তা সম্প্রচার করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন এই বছর অমরনাথের ৩,৮৮০ মিটার উঁচু পবিত্র গুহায় যাওয়ার জন্য প্রতিদিন মাত্র ৫০০ তীর্থযাত্রীকে অনুমতি দিয়েছে। এর আগে 23 জুন অনন্তনাগের পাহেলগাওঁ এবং গেন্ডারবালের বাল্টালের দুটি পথ থেকে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে তা শুরু করতে বিলম্ব হয়।
অমরনাথ গুহা একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যা ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি একটি শৈব তীর্থ। এই গুহাটি সমতল থেকে ৩,৮৮৮ মিটার (১২,৭৫৬ ফুট)উঁচুতে অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই তীর্থে যেতে পহেলগাও শহর অতিক্রম করতে হয়। এই তীর্থ ক্ষেত্রটি হিন্দুদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। গুহাটি পাহাড় ঘেরা আর এই পাহাড় গুলো সাদা তুষারে আবৃত থাকে বছরের অনেক মাস ধরে। এমনকি এই গুহার প্রবেশপথও বরফ ঢাকা থাকে।
গ্রীষ্মকালে খুব স্বল্প সময়ের জন্য এই দ্বার প্রবেশের উপযোগী হয়। তখন লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রী অমরনাথের উদ্দ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। অমরনাথের গুহাতে চুইয়ে পড়া জল জমে শিবলিঙ্গের আকার ধারণ করে। জুন-জুলাই মাসে শ্রাবণী পূর্ণিমা থেকে শুরু হয় অমরনাথ যাত্রা। শেষ হয় জুলাই-আগস্ট মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় ছড়ি মিছিলে। জাতিধর্ম নির্বিশেষে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই অমরনাথ যাত্রায় যোগদান করেন।