বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহু টালবাহানার পর ভেস্তে যায় বৈঠক। এখনও স্বাস্থ্যভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors)। সব ঠিকঠাকই চলছিল। বৃহস্পতিবার জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বৈঠক করতে বিকেল ৫টা থেকে নবান্ন সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে নির্ধারিত সময়ের ২৩ মিনিট পর নবান্নে (Nabanna) পৌঁছলেও সভাঘরে ঢোকেন নি জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। শর্ত নিয়ে ‘দর’ কষাকষির পর প্রশাসন লাইভ স্ট্রিমিংয়ে (Live Streaming) আপত্তি জানালে শেষমেশ ভেস্তে যায় বৈঠক।
প্রথম থেকেই লাইভ স্ট্রিমিং-এর দাবিতে অনড় ছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেব ডিজি রাজীব কুমার। কেন সম্ভব নয় সেই ব্যাখ্যাও দেন তিনি। বলেন, “কোনও ফর্মাল বৈঠক বা আলোচনায় লাইভ স্ট্রিমিং করা যায় না। যে বিষয়টা সাধারণ মানুষকে জানানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটা লাইভ স্ট্রিমিং (Live Streaming) করা হয়। এই ক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং করার কোনও কারণ নেই।” মুখ্যসচিবও একই কথা বলেন।
পরে গোটা বিষয় বিস্তরে ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। তিনি বলেন, ‘ লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিষয়ে আমাদের খোলা মন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট পারলেও আমরা লাইভ স্ট্রিম করতে পারিনা। কারণ বিচারাধীন বিষয়ে কিছু জিনিস মানতে হয়। এক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়।’
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কি এক্ষেত্রে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়? কি বলছে আইন? এই বিষয়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, ‘ আদালতের এমন কোনও নির্দেশ নেই। লাইভ স্টিমিং-এর ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকারও কথা নয়। সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা বিচারাধীন থাকলেও লাইভ স্ট্রিমিং করার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই।”
আরও পড়ুন: ‘পুজোর পরেই..,’ লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে নিয়ে বিরাট বড় আপডেট, ঠিক কী জানা যাচ্ছে?
“কোনো রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন বিষয়ে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দেশ নেই।” আইনজীবী আরও বলেন, “যদি লাইভ স্ট্রিমিং যদি না করা যেত, তাহলে মুখ্যমন্ত্রী এতগুলো বৈঠক লাইভ স্ট্রিমিং করেছেন কেন?” পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘জনগণ পরিষেবা কেন পাচ্ছে না? কীভাবে পাবেন? তা কেন দেখানো যাবে না?