বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাত পোহালেই জামাই ষষ্ঠী। অন্যদিকে রবিবার বিকেল গড়িয়ে মঙ্গলবার শেষ হতে চললেও এখনও পর্যন্ত দুর্ভোগ কাটল না শিয়ালদা ডিভিশনের (Sealdah Division) লোকাল ট্রেনের (Local Train ) যাত্রীদের। রোজকার অফিসযাত্রীরা তো বটেই কলকাতা সংলগ্ন শহরতলীর অধিকাংশ মানুষই কম সময়ে দ্রুত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য ব্যবহার করে থাকেন লোকাল ট্রেন।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত পুরনো ছন্দে ফেরেনি শিয়ালদা ডিভিশনের মেন লাইন এবং বনগাঁ শাখার লোকাল ট্রেন গুলি। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৬ জুন মধ্যরাত থেকে রবিবার ৯ জুন পর্যন্ত শিয়ালদা ডিভিশনের একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করার কথা জানিয়েছিল পূর্ব রেল। আসলে আগামী দিনে সমস্ত যাত্রীদের সুবিধার জন্যই ১২ কোচের ট্রন চালানোর জন্য চলছে প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণ এর কাজ।
তার জন্যই তিন দিন বন্ধ রাখা হয়েছিল শিয়ালদা স্টেশনের এক থেকে পাঁচ নম্বর প্লাটফর্মের ট্রেন চলাচল। যার ফলে একাধিক ট্রেন বাতিল হওয়ার পাশাপাশি অস্বাভাবিক লেট চলছিল সমস্ত ট্রেন। যার ফলে এই প্রচন্ড গরমের মধ্যেই চরম হয়রানির শিকার হয়েছেন রেল যাত্রীরা। এমনকী ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে প্রাণও গিয়েছে এক যুবকের।
রেলসূত্রে খবর প্লাটফর্ম সম্প্রসারণের পর রবিবার বেলার দিকেই খুলে দেওয়া হয়েছে শিয়ালদহের বন্ধ প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু তারপর মাঝে একদিন কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবারেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। যদিও বিজ্ঞপ্তিতে রেলের তরফে জানানো হয়েছিল রবিবার বেলা বারোটার পর থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে লোকাল ট্রেনের চলাচল। কিন্তু আজ মঙ্গলবারেও চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে লোকাল ট্রেনের যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: গ্যাস নিয়ে বড় উপহার! তৃতীয় বার শপথ গ্রহণের পরেই বড় ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী
যদিও আগেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল নতুন জুতো কিনলে যেমন পায়ে ফোসকা পড়ে তেমনি এই নতুন সিস্টেম চালু করতে গিয়ে প্রথমে সমস্যার হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত দুর্ভোগ থেকে নিস্তার না মেলায় ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীদের মধ্যেও। প্রসঙ্গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে পড়তে থাকে একটার পর একটা ট্রেন। এদিন সকাল থেকে শিয়ালদহ মেন শাখায় লেটে চলেছে অসংখ্য ট্রেন। আর সময় মতো ট্রেন না আসায় ভিড়ও বেড়েছে প্রতিটি স্টেশনে।
গরমের মধ্যেই ভিড়ে ঠাসাঠাসি বহু ট্রেন বিধাননগর থেকে শিয়ালদহ পৌঁছনর আগেই কম করে চার-পাঁচবার দাঁড়িয়ে পড়ছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গড়ে চল্লিশ মিনিট করে লেট করেছে ট্র্রেন। ভিড়ের মধ্যে প্রচন্ড গরমে অসুস্থও হয়ে পড়েছেন অনেকে। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের প্রশ্ন, তিনদিন ধরে কী করল রেল? জবাবে শিয়ালদা ডিভিশন জানিয়েছে, ‘সিগন্যালে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কাজ চলছে। নতুন সিস্টেমে সমস্যা মিটতে সময় লাগে’। তবে এই পরিষেবা কবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তা অবশ্য হলফ করে জানাতে পারেনি রেল।