বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহরমপুর থেকে টানা পাঁচবার সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। এবারেও কংগ্রেস (Congress) শিবিরের ভরসা সেই কাঁধ। অধীর গড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন, পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে গোটা কেন্দ্র। ওদিকে পয়সার অভাবে গ্রামে গ্রামে কংগ্রেসের কোনও দেওয়াল লিখনই চোখে পড়ছে না। গোটা বছর যে ‘দাদা’ সাধারণ মানুষের জন্য এত কাজ করেন আজ তারই দেওয়াল লিখনের টাকা নেই।
একথা মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না গ্রামের মহিলারা। তাই এবার অধীর ‘দাদা’ কে সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন তারা। বিদায়ী সাংসদকে ভালোবেসে নিজেদের সাধ্যমতো অর্থ তুলে দিলেন অধীর চৌধুরীর হাতে। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কান্দি থানার রণগ্রাম এলাকার এই মহিলাদের উদ্যোগে আবেগে ভাসলেন বহরমপুরের ‘রবিনহুড’।
রবিবার দুপুরে বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে কান্দি রণগ্রাম এলাকার ১১ জন মহিলা এসে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে প্রায় সকলেই দিনমজুর পরিবারের গৃহবধূ। কেউ বাড়ির ছাগল বিক্রি করে, কেউ মুড়ি ভেজে, কেউবা লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে অল্প অল্প করে অর্থ জমিয়েছেন প্ৰিয় নেতা অধীর চৌধুরীকে সাহায্য করার জন্য। ১১ জন মহিলা ঠিক মিলে নগদ ১১ টাকা তুলে দেন অধীর চৌধুরীর হাতে।
এদের মধ্যে নীলমণি মণ্ডল বলেন, ‘’ মনে হয়েছিল দাদাকে কোনওভাবে যদি সাহায্য করতে পারি। তাই আমরা মা-বোনেরা ঠিক করি নিজেদের সাধ্যমত টাকা জোগাড় করে দাদার হাতে তুলে দেব। তবে দাদার কাছে সব সময় পৌঁছতে পারি না। এদিন আমরা তার সঙ্গে দেখা করে এই টাকা দিতে পারায় খুব খুশি। উনি আমাদের জন্য অনেক করেছেন। অথচ আমাদের গ্রামে কংগ্রেসের কোনো দেওয়াল লিখন হয়নি।’’
আরও পড়ুন: আজ কালবৈশাখী দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়, স্বস্তির বৃষ্টি আর কতদিন? জানিয়ে দিল আবহাওয়া দপ্তর
গ্রামের মা-বোনেদের এহেন উদ্যোগে আবেগঘন হয়ে পড়েন অধীর। বলেন, ‘‘ আমার জীবনের অনেক বড় পাওনা। এই মা-বোনের কথা সারা জীবন মনে রাখব। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। কোনও রাজনৈতিক নেতার এই জীবনে ধরনের সৌভাগ্য হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। এরাই আমায় ভালো কাজ করার শক্তি জোগান। চুরির টাকায় আমাদের দল চলে না। মহিলাদের এই উদ্যোগ তারই প্রমাণ।’’