বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গোটা দেশে করোনা অতিমারীর দ্বিতীয় ধাক্কায় সংকটজনক পরিস্থিতি। প্রতিনিয়ত রেকর্ড হারে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সমান তালে তালে মিলিয়ে ঊর্ধ্বমুখী মৃতের সংখ্যাও। মারণ ভাইরাসের মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের একাধিক রাজ্য কারফিউ ও লকডাউনের শরণাপন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি নিয়মিত ঝাঁপিয়ে পড়ছে পরিস্থিতি মোকাবিলায়। একেরপর এক হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।
সেই মত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফেও মঙ্গলবার বৈঠক বসে দেশের করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য। সেখানেই সুপারিশ করা হয় দেশের প্রায় ১৫০ জেলায় করোনা সুনামির পজিটিভিটি রেট (Positivity Rate) ১৫ শতাংশের ঊর্ধে। ফলত উচ্চ পজিটিভিটি রেট যুক্ত এই জেলা গুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাপও বাড়ছে ব্যাপক হারে। ফলস্বরূপ এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সুপারিশ করা হয় লকডাউনের (Lockdown) মত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এই ১৫০ জেলায়। যদিও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির সাথে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
জানা যাচ্ছে, ১৫ শতাংশের বেশি পজিটিভিটি রেট যুক্ত এই জেলা গুলিতে আগামী কয়েক সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Corona Outbreak) শৃঙ্খল ভাঙতে প্রয়োজন লকডাউনের। অন্যদিকে, ভারতে বর্তমানে পজিটিভিটি রেট হল প্রায় ২০ শতাংশ। আর গোটা দেশে মোট সক্রিয় করোনা আক্রান্তের নিরিখে ৬৯ শতাংশই আট রাজ্যে। সবথেকে ভয়াল পরিস্থিতি তৈরি করে আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র (Maharastra)। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই। তারপরই দ্বিতীয় স্থানে অবস্থানরত উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার ছুঁইছুঁই। এমনকি কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট রাজ্য কেরলের করোনা পরিস্থিতিও বেগতিক।
মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরল, উত্তর প্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থান, তামিলনাড়ু ছত্তিশগড়ের মত একাধিক রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছে প্রায় ১ লক্ষ। গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা গত একসপ্তাহ ধরে তিন লক্ষের উপরে। আজ সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৬০ হাজারের গণ্ডিতে। সোমবারের নিরিখে গোটা দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ লক্ষ ২০ হাজার। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দেশের ১৫০ জেলা। ওই জেলাগুলিতে শৃঙ্খল ভাঙতে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।