বাংলা হান্ট ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকার করোনার সংক্রমণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ‘করোনার সংক্রমণের’ শৃঙ্খলা ভাঙতে, সারা দেশে ২১ দিনের জন্য ‘বিধিনিষেধ’ চাপানো যেতে পারে। এবার সেনা ও আধাসামরিক বাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। খুব সম্ভবত গোটা দেশে পুরো লকডাউন চলাকালীন সেনাবাহিনী দায়িত্ব গ্রহণ করবে। দেশে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সরকার এটি নিয়ন্ত্রণে প্রচুর জোর দিয়েছে, কিন্তু মৃত্যু হার কমছে না। রাজ্যগুলি লকডাউন বা কারফিউ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি রাজ্যে কঠোর লকডাউন রয়েছে, অন্য কোথাও আংশিক বিধিনিষেধ রয়েছে। কিছু রাজ্যের কন্টেন্টমেন জোন সম্পর্কিত পরিষ্কার নীতিও নেই।
দেশে লকডাউন সংক্রান্ত পরিস্থিতি এখনও পরিষ্কার নয়। কেন্দ্রীয় সরকার করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে রাজ্যগুলিতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, করোনার টাস্ক ফোর্স, বিজ্ঞানী এবং চিকিত্সকরা যদি এই সমস্ত বিষয় বিশ্লেষণ করেন তবে ‘সম্পূর্ণ লকডাউন’ করোনার শৃঙ্খলা ভাঙার একমাত্র উপায় বলে মনে হয়।
এআইএমএস ভোপালের পরিচালক ও সিনিয়র ভাইরোলজিস্ট ডঃ সরমান সিং বলেছেন, দেশে তিন সপ্তাহের পুরো লকডাউন দরকার। এর মাধ্যমে করোনার গ্রাফের দৈর্ঘ্য নিম্নগামী করা যাবে। অনেক রাজ্যে আংশিক লকডাউন চাপানো হচ্ছে। এটি কাজ করবে না।পুরোপুরি লকডাউন প্রয়োজন।
বেড, অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব, সবই করোনার যুদ্ধে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এত কিছুর কারণে করোনার সংক্রমণের চেইনটি ভেঙে যাচ্ছে না। অন্যদিকে, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আওতায় কোভিডের নতুন নতুন স্ট্রেন যা বিদ্যমান ভাইরাসের চেয়ে হাজারগুণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে বলে আশা করা হচ্ছে। এত কিছুর কারণে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার সংক্রমণের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তমূলক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।