বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেষ্ট গড় বীরভূমে (Birbhum) এবারেও তৃণমূলের তুরুফের তাস তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। তারকা প্রার্থী শতাব্দীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস থেকে বীরভূমের হাসান থেকে বিধানসভার সদস্য মিল্টন রশিদ। ষোল সালের বিধানসভা ভোটে বামেদের সমর্থনে তার হাত ধরেই জয় পেয়েছিল হাত শিবির। তবে এই আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP)।
কেন এখনও এই আসনে প্রার্থী দিচ্ছেনা বিজেপি? তাহলে কী বড় কোনো চমক আনছে গেরুয়া শিবির, এই সব নিয়েই জল্পনা যখন তুঙ্গে তখন শোনা যাচ্ছে সদ্য পদত্যাগী আইপিএস (ex IPS Officer) অফিসার দেবাশিস ধরকে বীরভূমে প্রার্থী করতে চাইছেন শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি।
অনুব্রত গড় বীরভূম থেকে আইপিএস অফিসারকেই টিকিট দিতে আগ্রহী বঙ্গ বিজেপি শিবির। সূত্রের খবর ভোটে লড়ার জন্য কিছুদিন আগে তিনি ইস্তফাও দিয়েছেন। তবে জানা যাচ্ছে তার ইস্তফা এখনও গৃহীত হয়নি। তাকে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে রাখা হয়েছিল। ওদিকে গত সপ্তাহে মুখ্য সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে চিঠি পাঠিয়ে ইস্তফা দিলেও এখনও পর্যন্ত তা গৃহীত হয়নি।
বিজেপি সূত্রে খবর, দেবাশিস ধরের ইস্তফা দিল্লিতে কর্মিবর্গ দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই ইস্তফায় কর্মিবর্গ দফতর ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে প্রার্থী হওয়ার পথে এখন আর কোনো বাধা রইল না। বিজেপির মতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় ভোট লুঠ ঠেকাতে পারলে একটা ফাইট হবে পদ্ম-জোড়াফুলের। ওদিকে তৃণমূলের মতে বীরভূমে বিজেপি, কংগ্রেস কেউই কোনো ফ্যাক্টর নয়। শেষ হাসি হাসবেন শতাব্দীই।
আরও পড়ুন: TMC নাকি BJP, তৃণমূল ‘সেনাপতি’র কেন্দ্রে পাল্লা ভারী কার? প্রকাশ্যে চমকে দেওয়া ওপিনিয়ন পোল!
শতাব্দী টানা তিনবারের সাংসদ। তার অনুগামীর সংখ্যা কম নয়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে অনুব্রত জেলে থাকলেও তার নেতৃত্বে বানানো সংগঠন এখনও বেশ মজবুত। তাই শতাব্দীর কাছে অন্য দলগুলির তুলনায় অনেকটাই বাড়তি অ্যাডভান্টেজে থাকবে। লোকসভা নির্বাচনে অন্যতম হাইভোল্টেজ আসনগুলির মধ্যে একটি বীরভূম। তাই এই কেন্দ্রের ফলাফলের ডিজে নিঃসন্দেহে নজর থাকবে গোটা বাংলার।