বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে লোকসভা, প্রায় প্রত্যেক নির্বাচনেই বাংলার বুকে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। লোকসভা ভোটের পঞ্চম দফায় জেম্ন হাওড়ার (Howrah) নানান প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর এসেছিল। এবার সেই কেন্দ্রের অধীন পাঁচলায় জানা গেল, ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে গ্রাম ছাড়া প্রায় ২০০ জন। লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024) মিটতেই পাঁচলা বিধানসভার অধীন বেলডুবি গ্রামের পুরুষরা ঘরছাড়া বলে খবর।
বিজেপির (BJP) দাবি, ছাপ্পা ভোট না দিতে দেওয়াও তাঁদের দু’জন পোলিং এজেন্টকে মারধর করা হয়। সেখানেই শেষ নয়, রাতের অন্ধকারে তাঁদের বাড়িতে বাহিনী নিয়ে চড়াও হয় বেলডুবি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) প্রধান। মারধর করা হয় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদের। আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে অত্যাচার, মারধরের অভিযোগ উঠলেও শাসক দলের তরফ থেকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ভোটের দিন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে অল্পবিস্তর ঝামেলা হলেও পরে তা মিটে যায়। উল্টে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ এনেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তাঁরা নিজেরাই জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও রকম সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুনঃ ‘সনাতনীদের দাঙ্গাবাজ বলেন মমতা’! কার্তিক মহারাজকে আক্রমণ প্রসঙ্গে বোমা ফাটালেন অনির্বাণ
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আবার বলেন, প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর লোকজনেরা তাঁদের কর্মীদের মারধর করে এবং সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। পাঁচলা বিধানসভা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘নাটক’ করার অভিযোগও এনেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
উল্লেখ্য, ভোটের দিন পাঁচলা বিধানসভার বেলডুবি উত্তরপাড়া প্রাথমিক স্কুলের ৬৯ ও ৭০ নম্বর বুথে দুপুর ৩টে নাগাদ গণ্ডগোল হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বুথে তৃণমূল ছাপ্পা ভোট করছিল। বিজেপির দু’জন এজেন্ট তার বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তাঁদের মারধর করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এসে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যান । শুধু তাই নয়, রাস্তায় বেরোলে তাঁদের প্রাণে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এই ঘটনার পর রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর দলবল তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে বলেও অভিযোগ। সম্পূর্ণ ঘটনায় ভয় পেয়ে ওই এলাকার বেশ কিছু পরিবারের পুরুষরা ঘর ছেড়ে জঙ্গলে আশ্রয় নেন। কার্যত অভুক্ত অবস্থায় তাঁদের দিন কাটছে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে আবার বিজেপির মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীদের তরফ থেকে তাঁদের ওপর অত্যাচারের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেওয়া হবে বলে শাসানো হয়েছে।