বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতে লোকসভায় মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩ টি। কিন্তু শনিবার নির্বাচন কমিশন ৫৪৪ টি আসনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করল। এবার কোনও আসন পুনর্বিন্যাস হয়নি। তাই নির্ঘণ্ট সামনে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত নির্বাচন কমিশন কোনও ভুল করেছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার নিজেই যদিও এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারের কথায়, দেশের লোকসভায় আসন সংখ্যা বৃদ্ধি হয়নি। ভুল করেনি কমিশনও। মণিপুরের একটি আসনে আসলে দুদিন ধরে ভোট গ্রহণ চলবে। তাই মোট আসন সংখ্যা দেখাচ্ছে ৫৪৪। তবে লোকসভায় আসন সংখ্যা মোট ৫৪৩ টিই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে গত শনিবার।
আরোও পড়ুন : প্রথম দিনেই এত্ত ভিড়! ভাঙল অতীতের সব রেকর্ড, কতজন উঠলেন গঙ্গার নীচের মেট্রোয় ?
তাতে দেখা যাচ্ছে অভ্যন্তরীণ মণিপুর বা ইনার মণিপুরের (জেনারেল) সব জায়গায় ভোট গ্রহণ হবে ১৯ এপ্রিল। এছাড়াও প্রথম দফায় সেদিন ভোট গ্রহণ হবে আউটার মণিপুরের (তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত) অন্তর্গত কয়েকটি বিধানসভা আসনেও। তারপর ২৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হবে যে বিধানসভা আসনগুলি বাকি পড়ে রইবে সেখানে।
আরোও পড়ুন : মাত্র ৯৯৯ টাকায় নতুন ইলেকট্রিক স্কুটি! Motovolt M7 ইভি স্কুটারের উদ্বোধন হল কলকাতায়
অর্থাৎ প্রথম দুদফায় মণিপুরের দুটি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের কাছে মণিপুরে ভোট আয়োজন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে অনেকেই মনে করছেন। গত ৩মে থেকে গোটা মনিপুর জুড়ে যে হিংসার আগুন জ্বলছে তা এখনো বজায় রয়েছে। নির্বাচনের সময় যাতে নতুন করে হিংসা না ছড়ায় সেই জন্য নির্বাচন কমিশন দুদফায় আউটার মণিপুর আসনে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাগা পিপলস ফ্রন্টের দখলে রয়েছে এই আউটার মণিপুর আসন। বিজেপির আয়ত্তে রয়েছে ইনর মণিপুর। মণিপুরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পিকে ঝা এই বিষয়ে জানান, ঘরবাড়ি ছেড়ে প্রচুর মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন। এমনকি কমিশনের অনেক কর্মী বাস্তুছাড়া। ভোট পরিচালনার জন্য নেই পর্যাপ্ত কর্মী। ভোট গ্রহনের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন হয়। তার সাথে বিবেচনা করা হয়েছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়।