বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) নিয়ে শোরগোল! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ইউনিক নম্বর সহ ইলেক্টোরাল বন্ডের সকল তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা করেছে এসবিআই। সেই তথ্য আপলোড করা হয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটে। এবার তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমের একাধিক সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিয়েছে। তবে এর মধ্যে কলকাতা ভিত্তিক একটি কোম্পানি আলাদাভাবে নজর কেড়েছে। কারণ বিগত কয়েক বছরে ক্রমাগত লোকসানের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রায় ১১২ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে তারা! যার বেশিরভাগটাই গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল (TMC) এবং কংগ্রেসের (Congress) ঝুলিতে।
বর্তমান সময়ে ছোট-বড় প্রায় সকল সংস্থার ওয়েবসাইট থাকে। তবে প্রায় ১১২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড কেনা আভিজ ট্রেডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেডের (Avees Trading and Finance Pvt Ltd) কোনও ওয়েবসাইট নেই! এই সংস্থার নিবন্ধিত ঠিকানা সার্চ করলেও খানিক চমকে উঠতে হয়। কারণ প্রায় শতাধিক ভিন্ন কোম্পানি সেই একই ঠিকানা ব্যবহার করে!
আরও পড়ুনঃ একাই একশো! নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলকে ৫৪২ কোটি চাঁদা ‘Dear Lottery’র মালিকের
কলকাতা ভিত্তিক আভিস ট্রেডিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক এই সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ১১২.৫ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে গিয়েছে ৫৩ কোটি এবং তৃণমূল পেয়েছে ৪৫.৫ কোটি টাকা। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে এই সংস্থা। অপরদিকে AAP-এর ঝুলিতে ১০ কোটি।
তবে সবচেয়ে চমকের বিষয় হল, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ এবং ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে লোকসানের সম্মুখীন হলেও নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিল এই সংস্থা। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ৫১.৭ কোটি টাকা, অপরদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২৯.১ কোটি টাকার লোকসান হয় আভিজ ট্রেডিংয়ের। তা সত্ত্বেও এই দুই বছরে যথাক্রমে ২৪ কোটি এবং ১৩ কোটির নির্বাচনী বন্ড কিনেছিল তারা। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উক্ত সংস্থা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। পাশাপাশি সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন আভিজ ট্রেডিংয়ের তিন ডিরেক্টর বাল চন্দ্র খৈতান, রমেশ কুমার সারাওগি এবং মহেশ কুমার ধানুকা।