বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্যামনেই রাজ্যের বিধানসভার ভোট, আর তাঁর আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলো। একদিকে তৃণমূল কংগ্রেস (All India Trinamool Congress) যেমন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনই রাজ্যের প্রধান প্রতিপক্ষ দল বিজেপি (Bharatiya Janata Party) রাজ্যে ক্ষমতায় আসার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। এছাড়াও বাম-কংগ্রেস জোটও রাজ্যের ভোটে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। এবছরের নির্বাচনে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য।
একদিকে বিজেপি যেমন এবারের নির্বাচনের প্রধান ইস্যু হতে চলেছে বেকারত্ব, রাজ্যে ভেঙে পড়া আইন শৃঙ্খলা, তৃণমূলের তোষণ নীতি, রাজ্যের গণতন্ত্র, সন্ত্রাস এবং জঙ্গি ইস্যু। তেমনই তৃণমূলের হাতে প্রধান অস্ত্র হল বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলা, কৃষি বিল, বেসরকারিকরণ, দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, সংখ্যালঘুদের দমন সমেত আরও অন্যান্য ইস্যু।
দিন কয়েক আগে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে মুকুল রায়ের (Mukul Roy) কাঁধে বড় দায়িত্ব দিয়েছে। আর সেই দায়িত্ব পাওয়ার পর মুকুল রায়ও কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ময়দানে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মুকুল রায় সক্রিয় হতেই ওনার নেটওয়ার্কের সীমা আরও বেড়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে যে, তৃণমূলের বড় মাপের নেতা, নেত্রী এমনকি কয়েকজন মন্ত্রীও বিজেপিতে আসতে পারেন। মুকুল রায় ইতিমধ্যে নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছেন।
লোকসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন একাধিক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। আর তাঁর ফল স্বরুপ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১৮ টি আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছিল গেরুয়া শিবির। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগেও সেম স্ট্যাটার্জি ব্যবহার করে বাজিমাত করতে চাইছেন মুকুল রায়। একদিকে মুকুল রায় যেমন তৃণমূলের নেতাদের দলে টেনে শক্তি বাড়াতে চাইছেন। অন্যদিকে তৃণমূলও গদ্দারদের খোঁজ করে আগে থেকেই তাঁদের শক্তি খর্ব করতে ব্যস্ত। মুকুল আর তৃণমূলের এই লড়াইয়ে রাজ্যে আগামী দিন গুলোতে অনেক পরিবর্তনই দেখা যাবে বলে আশা করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।