বাংলাহান্ট ডেস্ক : একের পর এক ধর্মীয় বিতর্কে বারবার শিরোনামে কর্ণাটক। প্রথমে হিজাব বিতর্কের পর এবার মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ করার দাবিতে উত্তাল সেরাজ্য। দিন দুয়েক আগেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলি দাবি তোলে যে মসজিদে মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে। এবার সেই পথেই আর এক পদক্ষেপ নিল পুলিশ। বুধবার কর্ণাটক পুলিশ মসজিদ গুলিকে নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দিল যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যেই বাজাতে হবে লাউডস্পিকার। কার্যতই পুরো ঘটনার জেরে শোরগোল দেশজুড়ে।
এর আগেও হিজাব এবং হালাল মাংস বিক্রি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল সেই রাজ্যের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তা নিয়ে দেশজুড়ে যে কম জলঘোলা হয়নি তা বলাই বাহুল্য। এরই মধ্যে দিন দুই আগে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি মসজিদে মাইকের বিরোধীতা করে মাঠে নামে। বলা হয় মসজিদে নামাজ পড়ার সময় মাইক বাজানো চলবে না। যদি তা না মানা হয় তাহলে প্রতিদিন ভোরবেলা উচ্চস্বরে ভজন গাইতে শুরু করবে তারা। ওই সংগঠনের তরফে একটি ভিডিওতে বলা হয়, ‘রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬টা অবধি মাইক বাজানো যাবে না। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টের রায় আছে। কিন্তু তা মানা হয় না মোটেই।’
এই মর্মে বুধবার মসজিদগুলিকে নোটিশ পাঠিয়েছে কর্ণাটক পুলিশ। সেই নোটিশে বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের রায় মেনে মসজিদগুলিকে একটি নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যেই মাইক বাজাতে হবে। অন্যথায় আইনী ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। মাইকের আওয়াজ যাতে মসজিদের বাইরে না আসে নিশ্চিত করতে বলা হয় তা ও।
এই ব্যাপারে কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এস এসাইয়াওরাপা জানিয়েছেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। মসজিদের মাইকের আওয়াজে ছাত্রছাত্রী এবং অসুস্থ মানুষদের সত্যিই খুব অসুবিধা হয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে এই ইস্যুতেই সরব হয়েছিলেন কর্ণাটকেরই পড়শী রাজ্য মহারাষ্ট্রের নব নির্মান সেনার সভাপতি রাজ ঠাকরে। গত শনিবার শিবাজি পার্কের একটি সমাবেশে রাজ ঠাকরে বলেন, ”মসজিদে এত উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো হয় কেন? যখন ইসলাম ধর্মের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন কি লাউডস্পিকার ছিল? এটা বন্ধ না হলে মসজিদের বাইরে অতি উচ্চ স্বরে হনুমান চালিসা বাজানোর ব্যবস্থা করব আমি।’