বাংলাহান্ট ডেস্ক : তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। কী হচ্ছে, আর কেনই বা হচ্ছে সেই উত্তর নেই তাবড় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছেও। চরমে উঠেছে গোষ্ঠীকোন্দল। এর আগেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।মদন মিত্রের বিরুদ্ধে ওঠা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জলঘোলা হয়। তারই পুনরাবৃত্তি আবার।
বৃহস্পতিবারই আবারও মদন মিত্র একহাত নিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সঙ্গে বাদ গেলেন না কুণাল ঘোষ। বৃহস্পতিবার কামারহাটিতে একটি থানার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন মদন মিত্র। সেখানেই তিনি বলেন, ‘কুণাল -পার্থকে নিয়ে কথা না বললে আমি না খেয়ে মরব। আমি একজন চুনোপুঁটি এমএলএ।’
এখানেই শেষ নয় বিষয়টি। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনেও একাধিক মন্তব্য করতে দেখা যায় মদন মিত্রকে। প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের কালারফুল বয়ের দাবি, ‘আমার মুখ বা পাত্র কোনওটাই নেই। আমি একজন চুনোপুঁটি এমএলএ। এইসব হাইপ্রোফাইল লোকেদে ব্যাপারে বলতে গেলে আমি বেচারা না খেয়ে মরব। আমাকেও বেশ কিছুদিন আগে শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দেখয়ে সোকজ করেছিল শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি। তিন পাতার জবাব লিখে সেই চিঠির উত্তর দিই আমি। দলে থাকলে দলের নিয়ম মেনেই চলতে হবে’
তৃণমূল নেতার আরও দাবি, ‘বাবার টাকায় খাব, এমএলএ হব আর বাবার কথা শুনব না, তাই কখনও হয়? কুণাল যা বলছে তা হয়ত পার্টির মধ্যের কথা বলেও বলছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দলের মধ্য কোনও গুণ্ডামি সহ্য করা হবে না। পুলিশ সতর্ক করার পরও কেউ যদি না নিজেদের বদলান তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা ভালোভাবে থাকতে চান থাকুন। পুলিশ বলার পরও শুনছেন না সেই সব গুণ্ডাদের বলছি, সৌগত রায়, আমি, তাপস তিনজনে মিলে একটা সই করে জমা দেব। কোনও গুণ্ডা ধারে কাছেও থাকবে না। ‘
রাজ্যের পরিস্থিতি এবং দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে চরম অস্বস্তিতে শাসকসল। এহেন পরিস্থিতিতে মদন মিত্রের এই বক্তব্য যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। এদিন তবে কি তিনি গুণ্ডারাজের বিরুদ্ধে দলের পাশেই দাঁড়ালেন নাকি শুধুই কুণাল-পার্থদের কটাক্ষ করাই ছিল তাঁর দাবি, সেই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য পাওয়া যায়নি।