বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন আর তার পূর্বে ফের একবার বেফাঁস কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বিজেপিকে (Bharatiya Janata Party) আক্রমণ করার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) প্রসঙ্গেও একাধিক মন্তব্য প্রকাশ করেন মদন।
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং পাচার কাণ্ডে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা হেফাজতে। এই সকল বিষয়কে কেন্দ্র করে যখন কোণঠাসা শাসক দল, সেই মুহূর্তে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে ফের একবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।
অতীতেও একাধিক সময়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য খবরের শিরোনামে থাকেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক আর এবার অস্ত্র উদ্ধারকে কেন্দ্র করে মদন মিত্রের মন্তব্য শোরগোল ফেলে দিয়েছে সর্বত্র। উল্লেখ্য, বর্তমান সময়ে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। গতকাল নৈহাটির রাজেন্দ্রপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে দিলীপ ঘোষকে চরম কটাক্ষ করেন মদন।
সোনারপুর শুটআউট কাণ্ডে তিনি বলেন, “দিলীপবাবু বলেছেন, কর্মীদের ঘরে ঘরে নাকি অস্ত্র পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তবে কোথায় সেই অস্ত্রগুলো যাচ্ছে, তা জানলে আমাদের ভালো। ওই অস্ত্রগুলো আমাদের কর্মীরা নেবে এবং এক্ষেত্রে তাদেরকে ভালো প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের অনেক ভালো প্রশিক্ষক রয়েছে, ওই বন্দুক নিয়ে আমাদের কর্মীদের প্র্যাকটিস করাতে হবে, যাতে বিজেপি সেগুলো ব্যবহার না করতে পারে।” যদিও পরবর্তীতে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “আমরা শুধু শিখে রাখব। ফাঁকা মাঠ, তাই ব্যবহারের দরকার পড়বে না।”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস নেত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করে বসেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে গতকাল মদনবাবু বলেন, “ফিরহাদ অভিজ্ঞ একজন নেতা। ও মিল খুঁজে পেয়েছে বলেই ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তুলনা করেছেন। আসলে ইন্দিরা যে সাহস নিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছিলেন, মমতার মধ্যেও সেই সাহস রয়েছে। সিপিএমকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পেরেছেন মমতা। তাই এর মধ্যে কিছু ভুল নেই। অপেক্ষা করুন, পরবর্তী সময়ে ইন্দিরা গান্ধীর জায়গায় পৌঁছাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”