বাংলাহান্ট ডেস্ক : সংগীতশিল্পী কেকে’র (KK) মৃত্যুর পর বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূলের। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক অনুষ্ঠানে তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায় প্রশ্ন তুললেন যে, কেকের মতো এত নামি শিল্পী কে মুম্বাই থেকে এনে অনুষ্ঠান করার খরচ কে দিলো? সেই বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সৌগত রায়কে পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক মদন মিত্র। কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “ওনার বয়স হয়েছে, একজন বয়স্ক মানুষ কি মন্তব্য করছেন সেই বিষয় নিয়ে জলঘোলা না করাই ভালো।”
প্রসঙ্গত, গত শনিবার বরানগরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বর্ষিয়ান সাংসদ সৌগত রায়। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের গঠনমূলক রাজনীতির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “এই যে কেকে এখানে গান করতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা আসে কোথা থেকে! শুনেছি ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত টাকা যেন লেগেছে। টাকা তো আর হাওয়ায় আসেনা!”
সৌগত রায়ের এহেন মন্তব্যের জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের দিকে একই সুরে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় বাম-ডান সব পক্ষই। তবে বর্ষীয়ান এই সাংসদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ মদন মিত্র। তিনি জানান, যদি সমস্ত দিকের খরচা ঠিক রেখে মানুষের থেকে সাহায্য নিয়ে কেউ অনুষ্ঠান করে তাতে ক্ষতির তো কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেস তোলাবাজি করে না।
শুধু এখানেই শেষ নয়, কামারহাটির বিধায়ক এর সাথে বলেন, সৌগত বাবুর বয়স হয়েছে। তাই ওনার বক্তব্যকে এত গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গতকাল সৌগত বাবু ছাত্রদের উদ্দেশে আরো বলেন, “বোম্বে থেকে বড় শিল্পী আনতে গেলে যে বিস্তর টাকা লাগে তার জন্য কারোর না কারোর কাছে মাথানত করতেই হয়, আর তারা হল এলাকার মাস্তান বা প্রোমোটার। এত কম বয়সে কারোর কাছে মাথানত করলে ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে কিভাবে দাঁড়াবে?” সৌগত বাবুর কথা কার্যত ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়ে মদন মিত্র বলেছেন, “বড় শিল্পী আনতে গেলে অনেক টাকা লাগে আর গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা ছেলে মেয়েদের পক্ষে সেই টাকা দেওয়া সম্ভব নয়।”