বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবশেষে হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। নারদ কান্ডে কিছুদিন আগেই একবার বাড়ি থেকে সিবিআই গ্রেপ্তার করে তাকে। এরপর প্রথমে জামিন পেলেও সেই রাতেই আবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় মদন মিত্রকে। সদ্য কোভিড থেকে সেরে ওঠায় জেলে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে থাকেন এই হেভিওয়েট নেতা। আর তারপর থেকেই এসএসকেএমের উডর্বান ব্লকে ভর্তি ছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারপতির বেঞ্চ নারদ কান্ডে জড়িত ৪ অভিযুক্তকে জামিন দিয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকায় শুরুতে ছাড়া না পেলেও আজ শেষ পর্যন্ত সমস্ত পরীক্ষার পর মুক্তি পেলেন মদন মিত্র।
এদিন শুরুতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসএসকেএমের ভিতর ঐতিহাসিক সৈয়দ আলী মাজারে চাদর চড়ান তিনি। ইসলামী রীতিতে টুপিতে মাথা ঢেকে ভক্তির সঙ্গে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। এর আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে কথা বলতে গিয়ে, খোশমেজাজে বেশ কিছু রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যায় তার গলাতে। নিজের মিনিট দশেকের ফেসবুক লাইভে কিছু বলবো না বলেও প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন তিনি। একদিকে যেমন তার গলায় শোনা যায় “ফাগুন লেগেছে বনে বনে” অন্যদিকে শোনা যায় “আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে।”
কিন্তু ফেসবুক লাইভের পরেই হঠাৎ ফের একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। ইনহেলারও নিতে হয় তাকে। যার ফলে নিজের বিধানসভা অঞ্চলে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর যাননি তিনি। তবে তিনি বলেন, আমি প্রায় মরণাপন্ন হয়ে পিজি হাসপাতালে এসেছিলাম, চিকিৎসকরা যেভাবে সেবা পড়েছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। এদিন একইসঙ্গে পরিবারবর্গ এবং সাথে থাকা সমস্ত মানুষকেও ধন্যবাদ জানান তিনি। মামলা সম্পর্কে কোনো কথা খুলে না বললেও তিনি বলেন, “আমাকে বলা হয়েছে বাড়িতে থাকার নিয়মটা উঠে গেছে। তাই আমি আবার স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারবো। তবে মামলার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় এমন কোন কথা আমি বলতে চাই না। তবে এটুকু বলব “ফাগুন লেগেছে বনে বনে”।”
এর সাথেই তার আরও সংযোজন,”আমি আপনাদের কাছে যেতে পারছি না। অসুস্থ হওয়ায় আপনারাই আমার কাছে বারবার আসেন। তবে আমি কোন ছল করে অসুস্থ হইনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ হয়ে আমি কামারহাটি যাব।’’
এরপর শেষপর্যন্ত হুড খোলা জিপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মদন মিত্র। আগামী দিনে নারোদা মামলা কোন দিকে গড়াবে তা বলবে সময়। কিন্তু আপাতত এই চার হেভিওয়েটের জামিনের ঘটনাকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।