বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দল থেকে নির্দেশ আসলে চারটে বোমা মেরে সব ফাঁকা করে দেওয়া যায়। ১০ মিনিট সময় লাগবে শায়েস্তা করতে’, বিতর্ক উস্কে দিয়ে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) বিধায়ক মদন মিত্র। তবে পরবর্তীতে তিনি বলেন, “দলের বারণ থাকায় ওসব করা যাবে না।” তাণ্ডবের পরিবর্তে প্রেমের বার্তা দিতেও দেখা যায় তৃণমূল নেতাকে।
বিতর্কিত মন্তব্য হোক কিংবা অন্যান্য কর্মকাণ্ড, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের মধ্যে সর্বদাই খবর শিরোনামে থাকেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। অতীতেও বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে এদিন মদনবাবু বলেন, “দলের নির্দেশ আসলে বোমা মেরে উড়িয়ে অন্য জায়গায় ফেরত পাঠাতে ১০ মিনিট সময় লাগবে। ওই সময়ের মধ্যে শায়েস্তা করা সম্ভব। চারটে বোমা মেরে সব ফাঁকা করে দেওয়া যায়। কিন্তু দলের বারণ রয়েছে। তাণ্ডব নয় বরং প্রেম চাই।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় একের পর এক দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীদের নাম জড়ানোয় বিতর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। একইসঙ্গে, সম্প্রতি বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে সেই বিতর্ক আরো বহুগুনে বৃদ্ধি পায়। একদিকে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে, আবার অপরদিকে নবান্নে রওনা দেওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়দের আটক করে পুলিশ; যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি।
প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন এক মহিলা পুলিশ কর্মীকে উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “ডোন্ট টাচ মাই বডি। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ।” পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে লক্ষ্য করে একের পর এক কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়। আবার অপরদিকে, রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু জানান, “ওরা যাই করে নিক না কেন, আমাকে দমাতে পারবে না। ডিসেম্বরের পর বাংলায় এদের সরকার চলতে দেব না।”
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ প্রকাশ্যে আনার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। সেই সকল ইস্যুকে কেন্দ্র করে অবশেষে এদিন মুখ খুললেন মদন মিত্র। তাঁর দাবি, “১০ মিনিটের মধ্যে শায়েস্তা করা যায়। কয়েকটা ছেলে এনে বোমা মারলে সব ফাঁকা করে দেওয়া যায়। কিন্তু তাণ্ডব নয়, প্রেম চাই।”