বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী ১৩ ই নভেম্বর রাজ্যের ছয় বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগেই আরও একবার স্বমূর্তি ধারণ করলেন বঙ্গ রাজ্য রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra)। শুক্রবার নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থী সনৎ দে-র সমর্থনে প্রচার করতে এসেছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখানেই আরজিকর ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক এবং নির্যাতিতার বাবা-মা’কে বেলাগাম আক্রমণ করেন মদন (Madan Mitra)।
জুনিয়র ডাক্তারদের কটাক্ষ মদন মিত্রের (Madan Mitra)
রাত পেরোলে ৯ নভেম্বর। আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পূর্তি। আর ঠিক তার আগেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে বড় দাবী করে বসলেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর দাবি আরজিকর ইস্যুতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আন্দোলনটা নাকি শেষ হয়ে গিয়েছে।
মদন মিত্রের কথায়, ‘ওরা বাজার থেকে বেরিয়ে গেছে, গেট আউট। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের জায়গায় আবার ফিরে এসেছেন।’ এখানেই শেষ নয়, সেই সাথে তিনি এদিন জোর গলায় দাবি করেছেন, ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদের মত এখন নাকি হঠাৎ করেই রাতারাতি কিছু ভূইঁফোড় নেতা গজিয়ে গেছে। তবে তাতে তাদের লাভের লাভ কিছুই হবে না।’
তবে এখানেই থেমে থাকেননি কামারহাটি বিধায়ক। জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি এদিন নির্যাতিতার বাবা-মাকেও বিঁধলেন তিনি। অক্টবর মাসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করার আর্জি জানিয়ে মেল পাঠিয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। তারপর কলকাতা এসেও তাঁদের সাথে দেখা না করেই দিল্লি চলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাস দমনে নতুন নীতি অমিত শাহের! অন্ধকারেই থাকল রাজ্যের ভূমিকা
কটাক্ষ নির্যাতিতার বাবা-মা’কেও
যদিও ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সাথে অমিত শাহ’র ফোনে কথা হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু এদিন সে প্রসঙ্গে না গিয়েই অমিত শাহ’র দেখা না করার বিষয়টিকে টেনে এনেই মদন মিত্রের কটাক্ষ, ‘অনেকে ভেবেছিল জোর খেলা খেলে দিয়েছি। সলিড খেলা। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনি মেয়ের মা-বাবা চার লাইনের চিঠি অমিত শাহকে লিখবে। আর অমিত শাহ পত্রাঘাতের পরিবর্তে পদাঘাত করে চলে যাবে, দেখা পর্যন্ত করবে না।’
মদন মিত্রের এই প্রতিক্রিয়া প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় রাজ্য রাজনৈতিক মহল। জুনিয়র ফন্টের ডাক্তারদের আক্রমণের পাশাপাশি তিনি এদিন যেভাবে নির্যাতিতার বাবা মাকে আক্রমণ করেছেন তাতে সমালোচনায় মুখর রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে মদন মিত্রের এই বক্তব্যের জবাব তাঁরা দেবেন তবে তা আন্দোলনের মাধ্যমেই।