বিয়ের পর স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করা নিষ্ঠুরতার পরিচয় দেয়! বিরাট পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় এবার এক যুগান্তকারী রায় দিয়ে দিল হাইকোর্ট (High Court)। জোর পূর্বক স্ত্রীর পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া আসলে স্বামীর নিষ্ঠুরতার পরিচয়। ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন এমনই এক পর্যবেক্ষণ করল মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। ওই মামলা চলাকালীন আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হল এটা আসলে স্ত্রীর স্বপ্নকে ধ্বংস করার শামিল।

ডিভোর্সের মামলায় বিরাট পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (High Court)

হাইকোর্টের (High Court) ইন্দোর বেঞ্চের একটি ডিভোর্সের মামলার শুনানি ছিল। বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একজন মহিলা। তিনি জানান ২০১৫ সালে সাজাপুরের এক ব্যক্তির সাথে তাঁর বিয়ে হয়। জানা যায় উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করার ঠিক পরেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তাই  আরও পড়তে চেয়েছিলেন  তিনি। কিন্তু বিয়ে হতেই সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন স্বামী। অভিযোগ শ্বশুরবাড়ি থেকেই  তাঁর পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়া হয়।

শ্বশুরবাড়ির এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি ওই মহিলা। তাই নিজের দাবিতে অনড় থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত বাপের বাড়িতে ফিরে এসে ডিভোর্সের মামলা রুজু করেন ওই মহিলা। কিন্তু প্রথমে নিম্ন আদালত (High Court) তাঁর আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। উল্টে তাঁকে স্বামীর সাথে সংসার করার পরামর্শ দেন বিচারক।

আরও পড়ুন: ‘যাদবপুরের নাম মাটিতে মিশতে খুব বেশি সময় লাগবে না!’ কড়া হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেত্রী সায়নীর

নিম্ম আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এরপর উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। হাই কোর্টে ওই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন আদালত জানিয়েছে,’এই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় আবেদনকারী ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন। ভবিষ্যতেও মিটমাটের সম্ভাবনা নেই।’ একইসাথে এই মামলায় বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ‘এটা সত্যি ২০১৫ সালের ১ মে বিয়ের পর থেকে ১০ বছরে, আবেদনকারী এবং বিবাদী ২০১৬ সালের জুলাই মাসে মাত্র তিন দিন একসঙ্গে ছিলেন।’ দাবি করা হয় বিবাহিত জীবনের সেই দিনগুলিতে নাকি স্ত্রীর অভিজ্ঞতা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। জানা যায় এরপর থেকে তারা নাকি আর কোনো দিন একসাথে থাকেননি।

Chief Justice

মামলাকারীর স্বামীকে এদিন আদালতে ভর্ৎসনা করে বলা হয়, ‘স্ত্রীকে পড়াশোনা বন্ধ করতে বাধ্য করা অথবা এমন পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন না, এটা বৈবাহিক জীবনের একেবারে শুরুতেই তাঁর স্বপ্ন ধ্বংস করার সমতুল।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর