বাংলা হান্ট ডেস্ক : জ্ঞানবাপীর পর এবার ভোজশালায় (Dhar Bhojashala) হুলস্থুল। সম্প্রতি এই বিতর্কিত মসজিদটি পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (High Court) ইন্দোর বেঞ্চ। গত সোমবার এই শুনানির পর আদালত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (ASI) পাঁচজন বিশেষজ্ঞের একটি দল গঠন করতে বলেছে। এমনকি রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য আগামী ছয় সপ্তাহের ডেড লাইন দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিখ্যাত আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন। তিনি টুইট করে লিখেছেন, ‘মধ্যপ্রদেশের ভোজশালার এএসআই সমীক্ষার জন্য আমার অনুরোধ ইন্দোর হাইকোর্ট অনুমোদিত হয়েছে।’ এখানে বলে রাখা ভালো, বহু পূর্বেই এই স্থানটির প্রত্নতাত্বিক জরিপের জন্য আবেদন জানিয়ে আসছে হিন্দুপক্ষ। উল্লেখ্য, এই স্মৃতিস্তম্ভটি রাজা ভোজের নামানুসারে নামাঙ্কিত। যা এখন ASI এর অধীনে সংরক্ষিত।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ভোজশালা নিয়ে কী বিতর্ক?
কথিত আছে, ভোজশালার তৈরি করেছিলেন রাজা ভোজ। জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যেখানে বাগদেবীর মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে মুসলিম শাসকরা এটিকে মসজিদে পরিণত করে। বিখ্যাত মাওলানা কামালউদ্দিন মসজিদেও এর ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। এই মসজিদটি ভোজশালার ক্যাম্পাসেই অবস্থিত। এবং বাগদেবীর মূর্তিটি এখন লন্ডনের মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন : এবার হুগলিতে দিদিগিরি, তৃণমূল প্রার্থীর আসল নাম কিন্তু রচনা নয়, কী জানেন?
আদালত জানিয়েছে, জরিপের সময় সবকিছুর ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। এবং আদালতের নির্দেশ, এই বৈজ্ঞানিক জরিপ জিপিআর-জিপিএস পদ্ধতিতে করতে হবে। এখন প্রশ্ন আসবে, জিপিএস এবং জিপিআর কথার অর্থ কী? চলুন সেটাও জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন : রেললাইনের উপর রাখা তাজা বোমা! উপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, আতঙ্ক কাঁকিনাড়ায়
এটি মূলত একটি গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং ব়্যাডার। এটি মাটির ভিতরে বিভিন্ন স্তরের বাস্তবতা যাচাই করার একটি কৌশল। এতে ব়্যাডার ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অদৃশ্য অর্থাৎ লুকানো বস্তু এবং কাঠামো পরিমাপ করে। একইভাবে, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম অর্থাৎ জিপিএস-এর অধীনেও সমীক্ষা চালানো হবে।