বাংলা হান্ট ডেস্ক : লম্বা লড়াইয়ের পর অবশেষে সাফল্য পেল রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (Government Employees)। হাইকোর্টের (High Court) ইন্দোর বেঞ্চ এক রায়ে জানিয়ে দিল, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বাকি থাকা সমস্ত বকেয়া এবার মেটাতেই হবে সরকারকে। সপ্তম বেতন কমিশনের হিসেবে এই বকেয়া মেটাতে হবে সরকারকে। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বাড়িতে।
কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের
এতদিন ধরে সপ্তম বেতন কমিশনের বেতন থেকে বঞ্চিত ছিলেন ‘নর্মদা কন্ট্রোলিং অথরিটি’র কর্মীরা। যে কারণে নিজেদের বকেয়া মেটানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন তারা। ২০১৬ সাল থেকে অর্থাৎ প্রায় ৮ বছরের টাকা বাকি ছিল তাদের। এই আবহে কর্মীদের সমস্ত বকেয়া মেটানোর আদেশ দিল হাই কোর্ট। পাশাপাশি পিএফ নিয়েও নয়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন : ‘আমি পসেসিভ বর…, পাত্তা দেয়না ম্যাডাম ডোনা’! দাদাগিরির মঞ্চে আক্ষেপ সৌরভের
এইদিন মধ্যপ্রদেশ আদালত তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে পিএফ অ্যামাউন্ট জমা হয়েছে তা সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী নয়। অন্যদিকে মিডিয়া বলছে, ভোটের পরে ডিএ বাড়ানোর কথা চিন্তাভাবনা করছে মধ্যপ্রদেশের সরকার। এর আগে দুর্গাপুজোর সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়েছির ৪ শতাংশ। তারপর থেকেই একাধিক রাজ্য সেই পথ অনুসরণ করেছিল।
আরও পড়ুন : ‘বিয়ে মানে সারাজীবনের শাস্তি…’, টলিপাড়ায় আবার ভাঙন? ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট নীল-তৃণার
ডিএ বাড়বে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের
যদিও এখনও বেশকিছু রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা বঞ্চিত রয়েছে এই সুবিধা থেকে। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ এবং বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশও। দিনকয়েক আগেই খবর মিলেছিল, দেশের একাধিক রাজ্য ডিএ বাড়ানোর কথা চিন্তাভাবনা করলেও মধ্যপ্রদেশ সরকার সেই কথা ভাবছেনা। তবে এবার সেই ভাবনা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করছে সরকার।
ভোটের পরেই বাড়তে পারে মহার্ঘ্য ভাতা
রিপোর্ট বলছে, ভোট বৈতরণী পার হলেই ডিএ বাড়াবে মধ্যপ্রদেশ সরকার। আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর থাকায় মধ্যপ্রদেশের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন কমিশনের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় এই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। তবে আপাতত খবর, ভোটের ফল প্রকাশ হলেই বাড়তে পারে মহার্ঘ্য ভাতা।