বাংলা হান্ট ডেস্ক : মেয়ে বিয়ে করেছে অন্যধর্মে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ পরিবার। সদ্য বিবাহিত মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কই ছেদ করলেন বাবা। ঘটনা মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) মন্দসৌরের ঘটনায় চাঞ্চল্য। ওই হিন্দু তরুণী তাঁর মুসলিম বন্ধুকে বিয়ে করে সোজা পাড়ি দেন মুম্বই। এর পরে তিনি তাঁর আইনজীবীকে নিয়ে নারগড় থানায় পৌঁছে বিয়ের কাগজপত্রও দাখিল করেন। সেখানেই ডাকা হয় তাঁর বাবাকে। তিনি থানার মধ্যেই জীবিত কন্যাকে মৃতদেহ ঢাকার সাদা থান পরিয়ে ও মালা দিয়ে সম্পর্ক ছেদ করে দেন।
ঘটনাটি ঘটে মন্দসৌর জেলার নাহারগড় থানা এলাকায়। গত বছর হিন্দু মেয়েটি তাঁর এক মুসলিম বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে যান। এরপর তিনি বিয়েও করেন। রবিবার তিনি নারগড় থানায় হাজির হন। তাঁদের এই বিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য তাঁর বাবাকে থানায় আলোচনায় ডাকা হয়। সেখানেই তাঁর বাবা সাদা থান ও মালা পরিয়ে সম্পর্ক শেষ করার কথা বলেন।
ওই তরুণীর বাবা জানান আমার মেয়ে কলেজে পড়ত। দেড় বছর আগে কলেজে যাওয়ার সময় বাসস্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয়। তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে, নাকি কারও সঙ্গে পালিয়ে গেছে সে, কিছুই জানা যায়নি।
এই ঘটনার দেড় বছর পর সেই মেয়েই আইনজীবীকে নিয়ে থানায় এসে কাগজপত্র দেখায়। তার সিদ্ধান্ত আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, সমাজের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। আমার মেয়েকে মৃত হিসেবে আমি সাদা কাপড় ও মালা পরিয়ে বিদায় নিয়েছি।
কিছুদিন আগে এক উল্টো ইদানিংকালে লাভ জিহাদের খবরে বার বার কেঁপে উঠছে গোটা দেশ। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রে কোনও মুসলিম যুবককে বিয়ে করে এক হিন্দু তরুণী। এবং তারপর সেই প্রমিকের হাতেই প্রাণ যায় তাঁর। সংবাদ শিরোনামে বারাবার উঠে এসেছে এমন খবর। কিন্তু এবার ঘটল উল্টো কান্ড। বিহারের ছাপড়া জেলায় এক মুসলিম তরুণী প্রেমের টানে বিয়ে করল এক হিন্দু যুবককে। আর এই বিয়েতে সাক্ষী থাকল গ্রাম পঞ্চায়েত এবং অগণিত স্থানীয় মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রীনা প্রসাদের ছেলে রাজাবাবু এবং সাবির আলি শাহর মেয়ে নিশার প্রেম পর্ব শুরু হয় স্কুলে পড়ার সময় থেকেই। শেষ ২ বছরে প্রেম আরও গভীর হয়। তাঁরা জানতেন পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেবে না। তাই সুযোগ পেয়েই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান দুজনে। এর জেরে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় অশান্তি।
এরপরই আসরে নামে পঞ্চায়েত। দুই পরিবারকে বোঝানো শুরু হয়। খুঁজে বের করা হয় প্রেমিক-প্রমিকাকে। গ্রামে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। নিশা সম্পূর্ণ হিন্দু রীতি মেনে বিয়ে করতে রাজি হয়। অবশেষে, গরখা এলাকায় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়ে দেখার জন্য জড়ো হন গোটা গ্রামের লোক। তাঁরা সকলেই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান।