বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আপনি কি ভাবতেও পারেন, হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছে একটা ছোট্ট ইঁদুর? তাও যে সে কাজ নয় মাটির নিচে পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইন খুঁজে বের করতে রীতিমত দক্ষ সে। ইতিমধ্যেই এই বীরত্বের জন্য তাকে স্বর্ণপদকে পুরস্কৃত করা হয়েছে পিএসডিএ তরফে। ভাবলে হয়তো অনেকটা হলিউডি সিনেমাকেও হার মানাবে এই গল্প, কিন্তু এটাই বাস্তব। আফ্রিকার এই বিশেষ প্রজাতির ইঁদুরটির নাম মাগাওয়া। নিজের কর্ম জীবনে প্রায় ৭১ টিরও বেশি ল্যান্ডমাইন উদ্ধার করেছে সে।
সব মিলিয়ে এই ইঁদুরটির ওজন ১.২ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২৮ ইঞ্চি। যার জেরে এটি কোন ল্যান্ডমাইনকে ট্রিগার করে না। বেলজিয়ামের চ্যারিটি অপ্পো নামের একটি সংস্থা থেকে বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই ইঁদুরটি নিজের কর্ম জীবনের ৫ বছর অতিবাহিত করেছে কম্বোডিয়ায়। কম্বোডিয়া এমন এক দেশ যেখানে এখনও মাটির নিচে রয়ে গেছে প্রচুর ল্যান্ডমাইন এবং অবিস্ফোরিত বোমা। যার জেরে প্রতিবছর এই অঞ্চলে মৃত্যু হয় প্রায় আট হাজার মানুষের। হিসাব করে দেখলে গোটা নাইজেরিয়ায় প্রতি ঘন্টায় একটি করে মানুষের মৃত্যু হয় ল্যান্ডমাইনের কারণে। আর সেই ল্যান্ডমাইন খুঁজে বের করতেই দক্ষ এই মাগাওয়া ইঁদুরটি।
অবশেষে এবার নিজের কর্ম জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করল এই “হিরো র্যাট”। তার প্রশিক্ষক ম্যালেন জানান, বহুদিন ধরে এই কাজ করে আসছে মাগাওয়া। এখন তার বয়স হয়েছে। যার ফলে তাকে সসম্মানে অবসরে পাঠানো দরকার। তিনি আরো জানান, “মাগাওয়া যে কাজ করেছে তা কেউ ভাঙতে পারবেনা।
আমি গর্বিত ওর সাথে কাজ করতে পারার জন্য।” গত ৭৭ বছর ধরে এই বিশেষ প্রজাতির আফ্রিকান ইঁদুরগুলিকে ল্যান্ড মাইন উদ্ধারের ট্রেনিং দিয়ে আসছে বেলজিয়ান সংস্থা চ্যারিটি অপ্পো। তবে মাগাওয়াই প্রথম ইঁদুর যাকে এই কাজের জন্য স্বর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয় এই ধরনের ইঁদুরকে একটি বিশেষ কেমিক্যাল কম্পাউন্ড খুঁজে বের করার ট্রেনিং দেওয়া হয়। যার ফলে তারা অন্যান্য ধাতব জঞ্জাল থেকে ল্যান্ড মাইনকে আলাদাভাবে খুঁজে বের করতে পারে। একটি টেনিস খেলার মাঠকে পরীক্ষা করতে এই ইঁদুরটির সময় লাগে মাত্র কুড়ি মিনিট। সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, মাগাওয়ার মতই আরো অনেক ইঁদুরকে এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে তারা। যাতে আগামী দিনে, ল্যান্ড মাইনের সমস্যা থেকে কম্বোডিয়াকে মুক্তি দেওয়া যায়।
জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির উপর দিয়ে ভেসে চলছে বিমান, তরুণীর ভিডিও দেখে হতবাক নেটমাধ্যম!