বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ এবং সোমবার পর্যন্ত বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের জেরে মুলতবি হয়ে যায় সংসদের বাজেট অধিবেশন (Budget Session)। তবে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির অভিভাষণের পরে ধন্যবাদ জ্ঞাপনে আলোচনা চলে আরও কিছুক্ষণ। এরপরই লোকসভায় কড়া ভাষায় কেন্দ্রকে আক্রমণ শানানোর জন্য পরিচিত মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) নিজের বক্তব্য রাখতে শুরু করেন।
এই সময়ই আরও একবার একবার বিতর্ক তৈরি করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।। এবার তাঁর বিরুদ্ধে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অসংসদীয় শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ সামনে এল। বিগত কয়েকদিন ধরেই ‘আদানি’ ইস্যুতে বারংবার মুলতুবি হয় সংসদ অধিবেশন। মঙ্গলবারও এই বিষয়ে প্রবল বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় সংসদে। এরই মধ্যে অন্য একটি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অসংসদীয় ভাষার প্রয়োগ করে বিতর্কে জড়ান কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের উপর লোকসভায় বক্তব্য চলাকালীন এই অসংসদীয় শব্দের প্রয়োগ করেন মহুয়া।
মহুয়ার বক্তব্যের একটি ভিডিও সামনে আসে। তাতে শোনা যায়, মহুয়া বলছেন, ‘আমি খুব ভারী মন নিয়ে আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, লোকসভা শুধু একটা হল নয়, তার থেকেও বেশি কিছু। তবে এখন এই লোকসভাতেই আমরা যা বলতে পারি, তার থেকে নিষিদ্ধ বিষয়ের সংখ্যা বেশি। বিজেপি সাংসদরা বরাবর আমার কথায় বাধা দেন। প্রশ্ন তোলা হয় মহুয়ার পিছনে কারা রয়েছেন, কিন্তু সত্যি কথা হল মহুয়ার পিছনে কেউ নেই, মহুয়া আছে সত্যের সঙ্গে। দেশের স্বার্থে আমি আমার কাজ করে যাব।’ নিজের বক্তব্য শেষ করেই তাঁর আসনে বসে পড়েন মহুয়া। এরপর বলতে ওঠেন টিডিপি সাংসদ কে রাম মোহন নাইডু। অভিযোগ, সেই সময়ই নাকি বিজেপি সাংসদ রমেশ ভিদুরিকে উদ্দেশ্য করে অসংসদীয় ভাষার প্রয়োগ করেন তৃণমূল সাংসদ।
সেই সময় স্পিকার ওম বিড়লার অনুপস্থিতিতে লোকসভা সামলাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ বিজেডি সাংসদ ভারত্রুহারি মেহতাব। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, টিডিপি সাংসদ যখন বক্তব্য রাখতে ওঠেন, তখন নিজের আসনে বসেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বিজেপি’র বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে কিছু বলছেন মহুয়া মৈত্র।সেই সময়ই তৃণমূল সাংসদের মুখে শোনা যায় ওই অসংসদীয় শব্দটি।
এরপরই হইচই শুরু হয়ে যায় লোকসভায়। মহুয়ার মাইক তখনও বন্ধ হয়নি। ফলে তাঁর সেই কথা সম্প্রচারিতও হয়ে যায়। পরে অবশ্য স্পিকারের আসনে থাকা ভারত্রুহারি মেহতাব জানান, অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করেছেন মহুয়া, তা রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীকে তিনি অনুরোধ করেন এই বিষয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলতে।