বাংলা হান্ট ডেস্ক : ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) ফের মাওবাদী হামলা (Maoist Attack)। অতর্কিত এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন ৩ সিআরপিএফ জওয়ান (CRPF Jawan)। সিআরপিএফ ও নকশারদের এই গুলির লড়াইয়ে আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ জন। সূত্রের খবর, গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে বিজাপুর-সুকমা সীমান্ত এলাকায়।
ঘটনাপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ছত্তীশগঢ়ের বস্তার রেঞ্জের আইজিপি সুন্দররাজ। আইজিপি জানিয়েছেন, সিআরপিএফের একটি টিম সার্চ অপারেশনে বের হলে নকশালরা আচমকাই হামলা করে। সুকমা ও বিজাপুর জেলার সীমান্ত এলাকার একটি গ্রাম তেকালগাদামে গুলির লড়াই শুরু হয় নকশাল ও সিআরপিএফ বাহিনীর মধ্যে।
সূত্রের খবর, নকশাল তৎপরতা দমন করতে এবং গ্রামের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে সুকমা থানা এলাকায় একটি নিরাপত্তা শিবির তৈরি করা হয়েছিল। শিবিরের কাজ শেষ হলে আশেপাশের এলাকায় খানা তল্লাশি চালাচ্ছিল ২০১ নম্বর কোবরা ব্যাটালিয়ান ও সিআরপিএফের ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। এরপরেই আচমকা গুলিবর্ষণ হতে থাকে জওয়ানদের উপর।
আরও পড়ুন : সাগরে দাপট ভারতীয় নৌসেনার! ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জলদস্যুদের হাত উদ্ধার দু’দুটি জাহাজ সহ ১৯ পাকিস্তানি
আহতদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু হলেও ৩ জন জওয়ানকে বাঁচানো যায়নি। একইসাথে ১৪ জন জওয়ান এখনও চিকিৎসাধীন। চিকিৎসার জন্য আপাতত তাদের রায়পুর পাঠানো হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে বারবার নকশাল দমনের কথা বললেও মাঝে মাঝেই তারা মাটি ফুঁড়ে উঠে বাহিনীর উপরে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গের ‘চিকেন্স নেক’-এর কাছে চলল ‘ডেভিল স্ট্রাইক’, চিনের নাকের ডগায় মহড়া ১০০০ ভারতীয় বায়ুসেনার
দিনকয়েক আগেই এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত ২০ জানুয়ারি অসমের তেজপুরে গিয়ে অমিত শাহ বেশ জোর গলাতেই বলেন, আগামী ৩ বছরে গোটা দেশ সম্পূর্ণ নকশাল মুক্ত হবে।